প্রথম বৈঠকেই শাজাহান খান ও ইলিয়াস কাঞ্চনের মধ্যে তর্কাতর্কি

সড়ক-মহাসড়ক ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বৈঠকে কমিটির প্রধান সাবেক নৌমন্ত্রী শাহাজান খান নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন।

দীর্ঘ সময় দুজনের মধ্যে বিতর্কের পর বড় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ কমিটির বৈঠক শেষ হয়। তবে বৈঠকে সড়কের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের বাদানুবাদ নিয়ে বক্তব্য জানতে শাজাহান খানকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বৈঠকের বাইরে কথা না বলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই আমি কিছু বলতে পারব না।

ওই কমিটির আরেক সদস্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েন উল্যাহ বলেন, সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভার বাইরে গিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন গণমাধ্যমে বলেন, বিতর্কিত ব্যক্তিকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শাজাহান বৈঠকে বলেন, আমি বিতর্কিত হলে এ বৈঠকের সভাপতিত্ব করা ঠিক হবে না। আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। এরপরই ইলিয়াস কাঞ্চন তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন।

জানা গেছে, রোববার সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম সভায় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে সাবেক নৌমন্ত্রী ও শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সভাপতি শাহাজান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের কমিটি করা হয়।

ওই কমিটিকে ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়। বুধবার ওই কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েক সদস্য জানান, বুধবার বিআরটিএ ভবনে বিকাল ৪টায় বৈঠক শুরু হয়। শুরুতে আলোচনা চলে শাজাহান খানকে কমিটির সভাপতি করার বিষয়ে একটি বক্তব্য নিয়ে।

বৈঠকের শুরুতে শাজাহান খান ইলিয়াস কাঞ্চনের উদ্দেশে বলেন, কমিটির সদস্য হয়ে সভাপতির ব্যাপারে জনসমক্ষে দ্বিমত প্রকাশ না করে কমিটি গঠনের দিনই প্রতিবাদ করতে পারতেন। এ ধরনের বক্তব্যের জন্য আপনাকে ‘স্যরি’ বলতে হবে।

একপর্যায়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ঠিক আছে-আমি স্যরি বললেই যদি সমাধান হয় তাহলে বললাম।

তখন মূল প্রসঙ্গ শুরু করেন বৈঠকের সভাপতি শাজাহান খান। পরে অবশ্য প্রিয় ইলিয়াস কাঞ্চন সম্বোধন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান নিজেই।

এরপর বৈঠকে মহাসড়কের বর্তমান চিত্র নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন ডিআইজি হাইওয়ে আতিকুল ইসলাম। এরপর সময় ফুরিয়ে যাওয়ায় কার্যপত্র নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আগামী সোমবার পরবর্তী সম্ভাব্য বৈঠক ধার্য করা হয়েছে।