উন্নয়নের স্বীকৃতি :

প্রধানমন্ত্রীকে সর্বস্তরের নাগরিকের সংবর্ধনা

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের সাফল্য উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে সর্বস্তরের নাগরিক। বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতিসংঘের স্বীকৃতিপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর একটি স্মারক ডাক টিকিট ও ৭০ টাকার স্মারক মুদ্রা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানায় সর্বস্তরের নাগরিক। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সামরিক সচিব। স্পিকারের পক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাক, মাহবুব আরা গিনি, রফিকুল ইসলাম; প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী; মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে অর্থ, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদও শুভেচ্ছা জানান। ১৪ দলের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ নাসিম, রাশেদ খান মেনন; মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শুভেচ্ছা জানান।

এরপর সেনা, বিমান, নৌবাহিনীর প্রধানরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকেও।

এছাড়া শিক্ষাবিদদের পক্ষ থেকে আনিুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, ফারজানা ইসলাম ব্যবসাযীদের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সেলিমা আহমেদ, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম; সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান; কবি ও সাহিত্যিকদের পক্ষ থেকে শামসুজ্জামান খান ও সেলিনা হোসেন; শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, আবুল হাশেম খান, আতাউর রহমান; পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে তানিয়া বেগম, অ্যারোমা দত্ত, সুরাইয়া বেগম; এনজিও প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, বেগম রোকেয়া, মহসিন আলী; ক্রীড়াবিদ মাশরাফি. সাকিব, মারিয়া আক্তার সীমান্ত শুভেচ্ছা জানান।

এ ছাড়াও শ্রমজীবীদের পক্ষ থেকে মোর্শেদা মধুসুধন সরকার, আবদুর রাজ্জাক, একজন পোশাক শ্রমিক, একজন রিকশাচালক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোরিও গুতাসের, বিশ্বব্যাংক প্রধান, এডিবি প্রধান, জাইকার সনিচি কিতাওকা, ইউএসএআইডির মার্ক গ্রিন ভিডিওবার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির উদযাপন শুরু হয়। বিকালে রাজধানীর নয়টি স্থান থেকে বের হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। যা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ থেকে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে আনন্দ র‌্যালি করা হবে। এসব র‌্যালির মাধ্যমে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণে দেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে শুক্রবার বিআইসিসিতে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত।