প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাকিরা সম্মতি দিলে যাবো : ভিপি নুর

অনিয়ম কারচুপির পরেও ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। চায়ের আমন্ত্রণে যাবো কিনা সেটা সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি একা বললে তো হবে না, অনেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো, তারা সম্মতি দিলে যাবো।

শুক্রবার রাজু ভাস্কর্যে অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত (ভিপি) নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়েও তার দায়িত্ব রয়েছে। পজেটিভভাবে আমি যাওয়ার পক্ষে। প্রধানমন্ত্রীর সামনে যেন আমরা আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারি। তবে আমি আন্দোলনকারী ভাই-বোনদের সঙ্গে কথা বলে এবং যারা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলে ফাইনাল ডিসিশন নেবো। কারণ তারা যদি সম্মতি না দেয় তাহলে তো আমি যেতে পারবো না। আশা করি, তারা হয়তো সম্মতি দেবে।

নুর বলেন, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের নামে সন্ত্রাসীদের হাতে বার বার রক্তাক্ত হয়েছি। তখন আমার এ ভাই-বোনরাই আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। তারা না চাইলে দায়িত্ব গ্রহণ কিংবা দেখা করতে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

নবনির্বাচিত এই ভিপি বলেন, আমার ব্যক্তি ইমেজকে নষ্ট করার জন্য ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কিছু ছড়ানো হচ্ছে। আমি আগেও বলছি এখনও বলছি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তবে আমি এখন কোনোভাবেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। এ পরিষদের পক্ষ হতে আমি ডাকসুতে নির্বাচন করেছি। এখানে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। জিএস পদে জয়লাভ করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এছাড়া এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।

সোমবার (১১ মার্চ) রাত ৩টা ১৭ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।