প্রমাণ হয়েছে দেশে গণতন্ত্র নেই : ফখরুল

একটি জার্মান প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘একনায়কতান্ত্রিক’ দেশের কাতারে ফেলার ঘটনাটি জাতির জন্য লজ্জাজনক বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এতো দিনের অভিযোগ আজ প্রমাণিত। এতে প্রমাণিত হয় দেশে গণতন্ত্র নেই।’

শনিবার দুপুর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেরটেলসমান স্টিফটুং এক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশসহ ওই পাঁচটি দেশ গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণ করছে না। বাংলাদেশকে নতুন করে ‘একনায়কতান্ত্রিক’ দেশের তালিকায় ফেলা ওই প্রতিবেদনে সারাদেশে সহিংসতার জন্য কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে বিএনপিরও।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জার্মানের একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ভিত্তিতে বিবিসি অনলাইন একটি নিউজ ছাপিয়েছে যেটা আজ সব পত্রিকায় এসেছে। পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নিম্নের দিকের পাঁচটি দেশের অন্যতম একটি। যেখানে গণতন্ত্র বিদায় নিয়েছে এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এত দিন ধরে যে কথাগুলো বলছিলাম আজকে তা বিশ্বে স্বীকৃত হয়েছে। এই গবেষণার মধ্য দিয়ে আমাদের বক্তব্যের প্রতিফলন হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই গবেষণায় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যারা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম তারা অত্যন্ত লজ্জাবোধ করছি। এবং আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।’

সরকার স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে বাংলাদেশকে আজ এই অবস্থায় নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে হটিকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে এই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়ারও সমালোচনা করেন ফখরুল। বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের সমাবেশ করতে দিলেও গণতন্ত্র রক্ষাকারীদের সমাবেশ করতে দিচ্ছে না সরকার।’

কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করতে ৭৮টি জেলায় ৩৭টি দল সফরে যাবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের যৌথসভা থেকে দেশজুড়ে সফর করার জন্য ৩৭টি টিম নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা ৭৮টি সাংগঠনিক জেলায় সফর করবেন। এসব সফরে রাজনৈতিক বিষয় ও সামনের দিনে বিএনপির করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।