প্রশ্ন ফাঁসের সব পথই বন্ধ : গণশিক্ষা মন্ত্রী

পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের যতগুলো পথ ছিল তার সবই বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। তিনি বলেছেন, প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা জাতীয় দায়িত্ব। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে এর বিকল্প নেই।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি)কে সামনে রেখে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

১৯ নভেম্বর থেকে নবমবারের মত সারাদেশে শুরু হচ্ছে এই পরীক্ষা। চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।

গত কয়েক বছরে পাবলিক পরীক্ষায় একধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। বড়দের পরীক্ষার পাশাপাশি শিশুদের পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে। আর প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সরকার প্রায় প্রতি বছর নতুন নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তার পরও নতুনভাবে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তার সাথে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজ শেষ হয়েছে।’

‘এবার প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং তা সংশ্লিষ্ট থানা বা ট্রেজারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্র উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। দুর্গম এলাকায় ২০৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে।’

পরীক্ষার্থী কমেছে সোয়া লাখ

সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, এবার সমাপনীতে মোট ৩০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৫ জন অংশ নিচ্ছে। আর গত বারের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি।

এর মধ্যে প্রাথমিকে পরীক্ষার্থী কমেছে এক লাখ ২৬ হাজার ৬৪ জন। আর ইবতেদায়ীতে কমেছে আট হাজার ১৮৯ জন।

এবার যত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশনিচ্ছে তার মধ্যে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থী ২৮ লক্ষ ৪ হাজার ৫০৯ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন ছাত্র এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন।

অন্যদিকে মাদ্রাসার দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ জন এবং ছাত্রী এক লাখ ৩৮ হাজার ৪১৪ জন।

এবার সাত হাজার ২৭৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে দেশে সাত হাজার ২৬৭ টি এবং দেশের বাইরে রয়েছে ১২টি কেন্দ্র।