প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

বিএসএমএমইউ হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, মন্ত্রী আজ সকাল সাড়ে ৮টার কিছু পরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা নিয়ে মধ্য সেপ্টেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ছায়েদুল হকের মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করল। দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশে তাঁর অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ছায়েদুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে নিজ নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগরে। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।

সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের সংসদ সদস্য ছায়েদুল হক দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, ইউরিন ইনফেকশন ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছিলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি অসুস্থতা নিয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন।

মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় ছায়েদুল হক সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় আইনজীবী এই আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরনগর উপজেলা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১) থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় আজ জানানো হয়েছে, প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের সংক্রমণে গত বুধবার থেকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন মন্ত্রী ছায়েদুল হক।