প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত করলো প্রেমিক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে এক কিশোরী (১৪) প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রনি মিয়া (২০) নামে একজনের বিরুদ্ধে।

ধর্ষিতা কিশোরী শহরের উত্তর ভৈরবপুর এলাকার বাসিন্দা। আর ধর্ষক শহরের পঞ্চবটি এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে প্রেমিক রনি মিয়াসহ তার অপর তিন সহযোগী ইমন মিয়া (২২), নূর মোহাম্মদ (২১) ও আশিক (২০) মিয়ার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ শনিবার দুপুরে মামলার ৪নং আসামী আশিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে হাজতে পাঠান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রনির সাথে কিশোরীর ৭/৮ মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রনি শহরের ভৈরবপুর এমপি গালর্স হাইস্কুলের সামনের কাঁশফুল নামের একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে মুঠোফোনে ডেকে পাঠায় কিশোরীকে। কিশোরী প্রেমিকের কল পেয়ে খালা রূপাকে সাথে নিয়ে দেখা করতে আসে।

স্কুলে আসার পর ওই স্কুলের পিয়ন রনির বন্ধু ইমন মিয়া এবং অপর দুই সহযোগী নূর মোহাম্মদ ও আশিক মিয়া কিশোরী ও রনিকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে দেয় এবং খালা রূপাকে স্কুল থেকে বের করে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

স্কুলকক্ষে রনি ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তপাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় ধর্ষক রনি ইমন, নূর মোহাম্মদ ও আশিকের সহযোগিতায় কিশোরীকে তার এক বান্ধবীর বাসায় রেখে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মা সাজেদা বেগম।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক শ্যামল কান্তিনাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষিতাকে প্রয়োজনীয় ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার পরদিন শুক্রবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষক রনিসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শনিবার মামলার ৪নং অভিযুক্ত আসামী আশিককে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ বিচারক তাকে হাজতে প্রেরণ করেন।

প্রধান আসামী রনি মিয়াসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।