প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে শতাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছেন চিকিৎসক

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নারীদেরকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গ্রান্ট উইলিয়াম রোবিশিয়াচ নামে এক চিকিৎসক ও তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে।

ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে ৩৮ বছর বয়সী রোবিশিয়াচ ও তার প্রেমিকা ৩১ বছর বয়সী শেরিছা লরা রিলে তাদের সুদর্শন চেহারা ও মাদকের মাধ্যমে আকৃষ্ট করে দুই নারীকে ধর্ষণ করেছেন।

রোবিশিয়াচের মোবাইলে পাওয়া ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করে অন্তত একশ’র বেশি নারী তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে।

তারা মাদক ও অবচেতন করা ওষুধের মাধ্যমে ওই নারীদেরকে ধর্ষণ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন বিকৃত শারীরিক নির্যাতনও করেছেন ওই নারীদের ওপর। আর এ নির্যাতনের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য রোবিশিয়াচের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘাত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

গত বুধবার এ ঘটনার আপডেট দেয়ার সময় ক্যালিফোর্নিয়ার ওরাঞ্জ বিভাগের অ্যাটোর্নি চিফ সুশান কাং স্ক্রুডার বলেন, নতুন করে ৬ জন ভু্ক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ৩০ জন ভুক্তভোগী এ মামলার তদন্তকারীদের কাছে ফোন করেছেন।

তবে আসামিপক্ষের অ্যাটর্নিরা দাবি করেছেন, অভিযুক্তরা অপরাধের কিছু করেননি।

ওরেঞ্জ বিভাগের অ্যাটর্নি টনি রেকাওকাস মঙ্গলবার বলেন, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে নিউপোর্ট সমুদ্র সৈকতে শেরিছা ওই ৩২ বছর বয়সী নারীর সঙ্গে প্রথমে একটি রেস্তোরাঁয় দেখা করেন। পরে তিনি তার প্রেমিক রোবিশিয়াচকে ডেকে নেন। পরে আলাদা একটি অনুষ্ঠানে ওই নারীকে আমন্ত্রিত করেন এবং এক পর্যায়ে তারা তাকে নিজেদের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। এসময় ওই নারী অবচেতন ছিলেন বলে জানান টনি।

এরপর তারা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে এর ভিডিও ধারণ করেন। পরদিনই ওই নারী নিউপোর্ট বিচ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।

এর ছয়মাস পর আরেক নারী ওই প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা করেন। যেখানে তাকে নেশা করিয়ে নিজেদের ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে জানানো হয়েছে। পরে ওই নারী জেগে উঠে চিৎকার করতে থাকেন যতক্ষণ না প্রতীবেশিরা পুলিশ ডেকে পাঠায়। তবে তার ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে কিনা সেটা কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি।

বর্তমানে অভিযুক্তরা জামিনে রয়েছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর এ ঘটনায় রায় শোনাবে আদালত।