প্রেমিকা ও তার স্বামীর সামনে বিষপান করলেন সাবেক প্রেমিক!

স্বামী ও সাবেক প্রেমিককে নিয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকার কাচারিবাড়িতে ঘুরতে যান আসমা খাতুন নামে এক তরুণী। সবকিছুই ভালোই চলছিল। তবে বিপত্তি ঘটে প্রেমিকের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার মুহূর্তে। বিষপান করে বসেন প্রেমিক ইউসুফ আলী। সোমবার দুপুরে বুধহাটা এলাকার কাছারিবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রেমিক ইউসুফ আলী সরদার আশাশুনি ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মোন্তাজ আলী সরদারের ছেলে। প্রেমিকা একই ইউনিয়নের আশাশুনি গ্রামের আসমা খাতুন। তার স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া গ্রামে।

বুধহাটা এলাকার স্থানীয় শফিকুর রহমান জানান, সোমবার সকালের দিকে তারা তিনজন এক সঙ্গে বুধহাটা এলাকায় আসেন। বুধহাটা বাজারের একটা দোকানে একসঙ্গে তিনজন নাস্তা করেন। এরপর পার্শ্ববর্তী কাছারিবাড়ির মধ্যে গিয়ে তারা এক সঙ্গে ঘুরেন, সেলফি তোলেন। সবকিছুই স্বাভাবিক মনে হয়েছিল সকলের। তবে মেয়েটি যখন বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছিলো তখন ইউসুফ নামের ছেলেটি পেছন থেকে বিষপান করে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় মেয়েটি ও তার স্বামী তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এরপর স্থানীয়রাও উপস্থিত হয়ে ছেলেটিকে পার্শ্ববর্তী ডা. রেজাউল ইসলামের ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনার আসমা ও ইউসুফের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়।

বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স.ম মোসাদ্দেক জানান, ইউসুফ আলী ও আসমা খাতুন একে অপরকে দীর্ঘদিন ভালোবাসতো। পরে কিছু দিন আগে মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী শ্যামনগর উপজেলায় বিয়ে দেয় তার পরিবার। সোমবার সকালে মেয়েটি স্বামীসহ তার প্রেমিক ইউসুফকে নিয়ে কাছারিবাড়ি এলাকায় ঘুরতে আসে। জায়গাটি পার্কের মত। বিভিন্ন ধরনের মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। ঘোরাঘুরি শেষে মেয়েটি যখন ইউসুফের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছিলো তখন পেছনে দাঁড়িয়ে ছেলেটি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি ও তার স্বামীসহ স্থানীয়রা ইউসুফকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

তিনি আরও জানান, পরে ইউসুফের পরিবারকে খবর দেয়া হয় এবং আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট তাকে হস্তান্তর করা হয়। ইউসুফ আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় ছিল।

এ বিষয়ে আশাশুনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, এমন বিষয় নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। মেয়ে বা ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।