প্রেমের বিয়ের তিন বছরের মাথায় এ কেমন নিষ্ঠুরতা?

ভোলার চরফ্যাশনে গরম দার ছ্যাঁকা দিয়ে এক গৃহবধূর মুখ, গলা, বুক ও শরীরের কিছু অংশ তার স্বামী ঝলসে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার পর কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে ঘরে রেখে স্বামী নিজেই আহত গৃহবধূর চিকিৎসা করেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার পুলিশ গৃহবধূ রিক্তাকে (২২) উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের চরনুরুল আমিন গ্রামের রহিম আলী হাজী বাড়িতে এ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী জামাল উদ্দিনকে (৩৫) আটক করেছে।

থানা হেফাজতে থাকা জামাল উদ্দিন সংবাদকর্মীদের জানান, ভালোবেসে আমিনাবাদ ১নং ওয়ার্ডের হোসেনের মেয়ে আপন খালাত বোন রিক্তাকে ৩ বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা ঢাকার গাবতলী এলাকায় থাকেন। মোহাম্মদপুর এলাকার রাজা সিটি সার্ভিস নামে বাসের কনট্রাক্টর তিনি।

তার অভিযোগ, স্ত্রী রিক্তা তার কথার অবাধ্যে চলায় তিনি রিক্তাকে নিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি চলে আসে। দুপুরে চুলার আগুনে দা গরম করে ওই দা দিয়ে রিক্তার মুখমণ্ডল, গলা এবং বুক ঝলসে দেন। হাছান নামে তাদের ১ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

সূত্র জানায়, রিক্তা জামালের চার নম্বর স্ত্রী। এর আগে জামাল আরও ৩টি বিয়ে করেছেন।

চরফ্যাশন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গৌতম সাহা জানান, রিক্তার মুখমণ্ডল, গলা বুক এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া ক্ষত রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, নির্যাতিত গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী জামাল উদ্দিনকে চরনুরুল আমিন গ্রামের একটি ঘরের পাটাতন থেকে আটক করা হয়েছে।