প্রেম মেনে নেয়নি পরিবার, ইবির ২ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

পরিবার প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নিয়ে বিয়ের তৎপরতা চালানোয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান (২৫) ও মুমতা হেনা (২৫)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে মুমতা হেনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই খবর জানার পরপরই রাতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মারা যান রোকনুজ্জমান।

জানা গেছে, মুমতা হেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।

আর রোকনুজ্জামান কুষ্টিয়া শহরের পিয়ারাতলার একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

নিহতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোকনুজ্জামান ও মুমতা হেনার মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানার পর হেনাকে পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরে হেনাকে বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে।

এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে হেনা।

রাত সাড়ে আটটার দিকে এই খবর শুনে প্রেমিক রোকনুজ্জামান কুষ্টিয়া শহরের মতি মিয়া রেলগেটে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ এমদাদুল হক জানান, প্রেমঘটিত কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া পোড়াদহ জিআরপি থানার ওসি আব্দুল আজিজ জানান, পোড়াদাহ থেকে ছেড়ে যাওয়া গোয়ালন্দগামী শাটল ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন রোকনুজ্জামান। লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জানান, রোকনুজ্জামান ও মুমতা হেনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মনোমালিন্যের জের ধরে তারা আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি আরও জানান, রাতেই হাসপাতাল থেকে রোকনুজ্জামানের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা চুয়াডাঙ্গা নিয়ে যায়। আর রাত একটার দিকে মুমতা হেনার লাশ সাতক্ষীরায় নিয়ে যায় পরিবার।