ফখরুলকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ছাত্রলীগের

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার এবং এ ঘটনায় তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগ।

তা নাহলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি দিয়েছে তারা। পাশাপাশি এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার করারও ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’র প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

তবে এই বিক্ষোভে অংশ নেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

বক্তব্যে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, যারা হামলা করেছে তারা সবাই ছাত্রদল ও বিএনপির পোস্টধারী ক্যাডার। গোয়েন্দা পুলিশ, ডিজিএফআই ও প্রত্যেকটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তাদের তথ্য রয়েছে। অথচ মির্জা ফখরুল তাদের ছাত্রলীগের বলে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। এ মিথ্যাচারের কারণে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার বক্তব্য মিথ্যা বলে স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আমরা খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করব।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা দেশের মানুষ যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের ক্যাডাররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করেছে। যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে, সরকারের সম্পত্তি বিনষ্ট করা হয়েছে। উল্টো এর দায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর। আমরা বিএনপি নেতাদের এ ধরনের অপসংস্কৃতি ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাই।

ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের সম্পদ বিনষ্ট করেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভালো তারা চায় না, তারা চায় ক্ষমতা। অপরদিকে আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে এদেশের মানুষের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা তত উচ্ছৃঙ্খল হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আরো সজাগ থাকতে হবে। দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।