ফাল্গুনের হঠাৎ বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে বইমেলা

ফাল্গুনের হঠাৎ বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ার ঝাপটায় বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বৃষ্টিতে ভিজে গেছে সব স্টলেরই কমবেশি বই, ভেঙে পড়ে অনেক স্টলের স্থাপনাও।

বিকেলেও অনেক স্থানে জমে থাকে সকালের বৃষ্টির পানি। স্টলের ক্ষতির কারণে বাংলা একাডেমির অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা। যদিও সার্বিক প্রস্তুতির কোনো কমতি ছিল না দাবি করে, ক্ষতির জন্য প্রকাশনা সংস্থাগুলোর ওপর দায় চাপাচ্ছে বাংলা একাডেমি।

ঋতুরাজ বসন্তের সকালে ফাল্গুনের মাতাল হাওয়ার বৃষ্টি মন কেড়ে নিতে পারে প্রকৃতিপ্রেমী যে কারোরই। তবে ফাল্গুনের হঠাৎ এই বৃষ্টিতে অপ্রত্যাশিত ছন্দপতন ঘটলো মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার পালা। কিন্তু তখনও পাঠকদের জন্য নিজেদের স্টল গোছাতে পারেননি প্রকাশকরা। কেননা তখনও বইমেলা প্রাঙ্গণ কাটিয়ে উঠতে পারেনি সকালের বৃষ্টির ধকল।

বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি সরাতে বিকেল পর্যন্ত চলে নানা প্রচেষ্টা। প্রায় প্রতিটি স্টলের সামনে ভিজে যাওয়া বই শুকাতে ব্যস্ত বিভিন্ন প্রকাশনীর কর্মীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে শিশু চত্বর। প্রতিদিন শিশুদের আনন্দ কোলাহল মুখর থাকা বইমেলার কর্ণারটি রোববার বন্ধ থাকে কাঁদা- জলের কারণে।

পানি নিষ্কাসণসহ বেশ কিছু অব্যবস্থাপনা নিয়ে বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা।

প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা বলেন, মেলা কর্তৃপক্ষ আরেকটুকু সচেতন হতে পারতো। আর যদি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার থাকতো তাহলে এত বড় ক্ষতি হতো না।

তবে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রস্তুতির কোনো কমতি ছিল না।

গ্রন্থমেলার পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, বইমেলার যে টিন দেওয়া হয়েছে, তার ৯০ ভাগ নতুন টিন। সুতরাং টিনে যদি সমস্যা হতো তাহলে আগেই জানানো হতো। বাংলা একডেমি প্রস্তুত ছিল, প্রকাশকরাও প্রস্তুত ছিল। কেউ কেউ হয়তো তাদের শতভাগ নিতে পারেনি। তবে আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো কমতি ছিল না।

সকলের প্রচেষ্টায় বইমেলার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলেও মনে করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।