ফুল টাইম সংগঠক ফখরুল ইসলাম রবিন

শাহাবুদ্দিন শিহাব : ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি মননে মানসিকতায় মিশে আছে ফখরুল ইসলাম রবিন। ছাত্রাবস্থায় সেই যে রাজপথে দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেমেছেন, একটিবারের জন্যেও সে পথ ছাড়েননি। নানা চড়াই-উৎরাই, টানাপোড়েন আর বাঁধা বিপত্তের পাহাড় ডিঙ্গিয়ে নিজের নামটা শেষ পর্যন্ত একজন উদীয়মান তরুন সংগঠকের তালিকায় ধরে রেখেছেন। বলা চলে ‘ফুল-টাইম সংগঠক ফখরুল ইসলাম রবিন।

ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী আদর্শের জনক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ লালন করে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন তেজগাঁও কলেজ ছাত্র সংসদ এর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে। বৃহত্তর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদকও ছিলেন তিনি। আবার ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ছিলেন।

পড়াশোনা শেষ করে হয়ত উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তা হতে পারতেন, তবে তিনি তা করেননি। মিছিল আর স্লোগান শুনে যার রক্ত টগবগ করে উঠে তাকে কি অন্য কোথাও আটকিয়ে রাখা যায়? ফখরুল ইসলাম রবিনের ক্ষেত্রেও এমনটিই ঘটেছে। ফের ছুটে এসেছেন রাজপথে। মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলেছেন আবার। গলা ফাটিয়ে দাবি আদায়ের স্লোগান ধরেছেন, বক্তব্য দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জ্বীবিত করেছেন।

রাজনীতির পথটি জগদ্দল পাথরে ঢাকা থাকলেও ফখরুল ইসলাম রবিন সে পথে হাঁটতে ভালোবাসেন। অনেকটা ‘কঠিনেরে ভালোবাসিলাম’ এর মতোই। বিস্তর অলিগলি মাড়িয়ে বর্তমানে তিনি নিজের অবস্থান দাঁড় করিয়েছেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি।

ঢাকার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে চষে বেড়ান সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে। ক্লান্ত হয়ে ফেরেন, রাতটা শেষ না হতেই আবার বেরিয়ে পড়েন। মানুষকে ডাকেন, জাগাতে চেষ্টা করেন। যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে ঢাকায় একটি গণআন্দোলনে স্বপ্ন দেখেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী এবং গণতন্ত্র পুনঃউদ্বার আন্দোলনে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিটি কর্মসূচিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নেতাকর্মী নিয়ে তার সরব উপস্থিতি থাকে।


(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। আওয়ার নিউজ বিডি-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)