ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে পাহাড়ে বৈসাবী উৎসব শুরু

কাপ্তাই হ্রদের গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে থেকে রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই ও ত্রিপুরাদের বৈসুক উৎসব। শুক্রববার ভোরে চাকমা রাজবাড়ী ঘাটে তরুণ-তরুণী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে এই উৎসবের সূচনা করেন। পাহাড়ি সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ এ সময় কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে ফুল ভাসান।

অনুষ্ঠানে বিজু উদযাপন কমিটির প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, ইন্দ্র দত্ত তালুকদারসহ চাকমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসুক উপলক্ষে শহরের গর্জনতলী এলাকায় উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ।

রীতি অনুযায়ী ১২ এপ্রিল পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিনদিনের সার্বজনীন উৎসব শুরু হয়। ১৩ এপ্রিল উদযাপিত হচ্ছে মূল বিজু। আগামীকাল ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ গোজ্যাপোজ্যে দিন ও বর্ষবরণ উৎসব।

গোজ্যাপোজ্যে দিন নানাবিধ পূজা-পার্বণ আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী উৎসব শেষ হবে। পার্বত্য আদিবাসীদের মতে, বিজু মানে আনন্দ, নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় আর চেতনার নতুন প্রেরণা। তাই এবার অভাব-অনটনের মধ্যেও যথারীতি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবটির যথার্থে আনন্দমুখর করে তুলতে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় পালিত হয়েছে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। বর্ষ বিদায় এবং বর্ষবরণ উপলক্ষে প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে আয়োজিত এ উৎসবকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাইং, ত্রিপুরারা বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু এবং অহমিকারা বিহু বলে আখ্যায়িত করে।

এদিকে আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। পহেলা বৈশাখে রাঙ্গামাটিতে র‌্যালি ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।