ফেডারেশন কার্যালয়েই ধর্ষণের শিকার নারী ভারোত্তোলক

বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কার্যালয়ে অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে এক নারী ভারোত্তোলককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা প্রায় আড়াই মাস আগের। নিজেদের সম্মান ও ভারোত্তোলকের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ধর্ষিতার পরিবার থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। যে কারণে এতদিন অজানাই ছিল জঘন্য এ ঘটনাটি।

নারী ভারোত্তোলককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফেডারেশনের অফিস সহকারী সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে। তাকে সহযোগিতা করেছে মালেক নামের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এক কর্মচারি ও আরেক নারী ভারোত্তোলক। ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কার্যালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনের চতুর্থ তলায় ওই নারী ভারোত্তোলককে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতার মামা মো. নাজমুল হক।

অভিযোগ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশন ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আতিকুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি করে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে সৈয়দ হাসান ইমামকে এবং সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান। বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে: কর্নেল মো: নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে কমিটিকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে মো. সোহাগ আলী বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের অফিস সহকারী। তবে ফেডারেশন জানিয়েছে, সোহাগও একজন ভারোত্তোলক। ইতিমধ্যে সোহাগকে ভারোত্তোলনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি উইং কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ঘটনার প্রায় ৩ মাস পর ধর্ষিতার মামা নাজমুল হক তার ভাগ্নি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করায় আমরা উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছি।’

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই নারী ভারোত্তোলককে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। দুইদিন পর ছিল জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। অনুশীলনের জন্যই তিনি দুই দিন আগে ভারোত্তোলন ফেডারেশনে এসেছিলেন। ঘটনার পর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন ওই নারী ভারোত্তোলক। তিনি এখন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।