ফেলে গেল প্রেমিক, বিষ খেলো প্রেমিকা

প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর পর ফেলে যাওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে পাপিয়া সুলতানা সোনিয়া নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।

প্রেমিক কাজলের বাড়িতে গিয়ে বিষপানে এ আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় প্রেমিকা। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার দাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পাটকেলঘাটা লোকনাথ নার্সিং হোম ক্লিনিকে ভর্তি করে দেয়। প্রেমিক ইদ্রিস আলী কাজল (২২) পাটকেলঘাটা থানার দাদপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম শেখের ছেলে ও প্রেমিকা সোনিয়া (১৬) একই গ্রামের মজিবার রহমান খাঁর মেয়ে। সোনিয়া মেলেকবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

ছেলে-মেয়ে উভয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইদ্রিস আলী কাজলের সঙ্গে দুই বছর ধরে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী পাপিয়া সুলতানা সোনিয়া।

পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায় তাদের দেখা হয়। একপর্যায়ে সোনিয়াকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রেমিক কাজল।

১০ দিন আগে পালিয়ে সোনিয়ার ফুফুর বাড়ি আশাশুনি থানার তেতুলিয়া গ্রামে চলে যায় তারা। পরে মেয়ের ফুফা সাইফুল্লাহ দুই পক্ষের অভিভাবককে খবর দিলে প্রেমিকাকে ফেলে পালিয়ে যায় প্রেমিক কাজল। এরপর থেকে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। কাজল বর্তমানে কোথায় অাছে তা জানে না তার পরিবার।

কোনো উপায় না পেয়ে সকালে ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি জানায় প্রেমিকা। এ সময় প্রেমিক কাজলের মা-বাবা গালিগালাজসহ তাকে মারধর করে। তাদের কাছে অপমানিত হয়ে সেখানেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সোনিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলেন, কাজলের পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। এরপর মেয়েকে তাদের বাড়ির পাশে স্কুলের ফেলে রাখে। প্রতিবেশী আনিছুর রহমান মেয়েকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে ভর্তি করে। আমার মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তারা। ওদের শাস্তি চাই আমি।

পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ওসি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।