ফোন কল রেকর্ড করছে কাতার

দেশের নাগরিক ও ভিনদেশীদের ফোন কল রেকর্ড করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দোহার কর্মকর্তারা বলছেন, ফোন কলের সব রেকর্ড সংরক্ষণ করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। আরব বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার দেশটির নাগরিক ও সেদেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়। নতুন এই নির্দেশনায় ফোন কল রেকর্ডের তথ্য জানানো হয়েছে।

কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে নাগরিক ও সেদেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের ফোন কল রেকর্ড ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারির তথ্য জানিয়েছে। মোবাইলে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছে, দেশে বসবাসকারী সব নাগরিক ও প্রবাসীদের সামাজিক যোগাযোগের সব ধরনের মাধ্যমে নজরদারি করছে মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে সকলের ফোন কল রেকর্ড ও সংরক্ষণ করেও রাখা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপে সার্বক্ষণিক নজরদারির তথ্য এসেছে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এতে দেশবিরোধী, অনাকাঙ্ক্ষিত ও ভূয়া বার্তার আদান-প্রদান থকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ নতুন নির্দেশনা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, ও যারা জানেন না তাদেরকে জানিয়ে দেয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

উপসাগরীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সাতটি দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে সোমবার সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। মুসলিম ব্যাদারহুড, ইসলামিক স্টেট (আইএস), অাল কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে কাতারের সহায়তার অভিযোগে দোহার সঙ্গে একযোগে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা আসে।

কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এসব দেশের নাগরিকদের কাতার সফর, সেখানে বসবাস করা বা কাতার হয়ে অন্য কোনো দেশে যাওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। এছাড়া অাকাশসীমা ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে প্রতিবেশি দেশগুলো কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে বাইরের দেশগুলো থেকে কাতারে পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

তবে কাতারের দুর্দিনে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক ও ইরান। সমুদ্রপথে কাতারে খাবার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরবের চিরবৈরী আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান।