ফ্লোরিডা ট্র্যাজেডিও ভাঙতে পারল না ট্রাম্পের নীরবতা

আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর দেশের স্কুলগুলোর নিরাপত্তা ও ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে অবাধে অস্ত্র ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি তিনি। ট্রাম্প এবারও অস্ত্রের অবাধ ব্যবহার বন্ধের দাবির বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।

ট্রাম্প শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমি তোমাদের জানাতে চাই তোমরা কখনোই একা নও, ভবিষ্যতেও একা থাকবে না। তিনি স্কুলগুলোর নিরাপত্তা জোরদার ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাসনিক সুস্থতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

ট্রাম্প এমন সময় এসব কথা বললেন যখন তিনি বাজেটে এ সংক্রান্ত খাতে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।

ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে হাইস্কুলে সাবেক এক ছাত্রের গুলিতে ১৭ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হওয়ার পর তিনি অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সান্ত্বনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু আসলেই যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা বন্ধ করতে চান তারা ট্রাম্পের বক্তব্যে স্বস্তি পান নি। কারণ তারা অবাধে অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগকেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বলে মনে করেন।

অনেক অভিভাবকের মতে, ট্রাম্প শোক নিয়ে মাতামাতি করলেও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে একটি কথাও বলছেন না। কারণ তিনি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে চান না। আর এর কারণ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের দেয়া অনুদান নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

বছরের পর বছর ধরে আমেরিকায় এ নিয়ে বিতর্ক চললেও এ থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অবশ্য বারাক ওবামার আমলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রিপাবলিকানরা এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় বিষয়টি বেশি দূর এগোতে পারে নি।

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যেন ভুলেই গেছে সরকার। বর্তমানে আমেরিকায় যে কেউ অবাধে নিজের কাছে অস্ত্র রাখতে পারে এবং তা বহন করতে পারে।