বখশিশ নেওয়ার অপরাধে ২৪৩ জন নাপিত বরখাস্ত!

মাথার সব চুল কেটে ফেললে হয়ত দেবতা খুশি হবেন৷ ফলে তারা যা চান, দেবতা তা করে দিতে পারেন৷ সেই আশায় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতি শহরের ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির পরিদর্শনে যাওয়া ভক্তদের অনেকে ন্যাড়া হন৷

প্রতি সপ্তাহে কম করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ চুল দেন এই মন্দিরে। পুণ্য অর্জনের জন্য ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে বছরের পর বছর ধরে এই রীতিই চলে আসছে

এ কাজের জন্য চুক্তিভিত্তিতে ৯৪৩ জন নাপিতকে নিযুক্ত করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। যাদের বেতনও দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু সম্প্রতি অভিযোগ পাওয়া যায় যে, এ কাজ করার জন্য বহু দিন ধরে পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে বখশিশ নিচ্ছেলেন বেশ কয়েকজন নাপিত। বখশিশ দেওয়ার জন্য চাপও দিতেন তারা। যদিও এভাবে বখশিশ নেওয়া নিষিদ্ধ নাপিতদের। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই বিষয়টি খতিয়ে দেখে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার সেই অপরাধে ২৪৩ জন নাপিতকে বরখাস্ত করল তিরুপতি তিরুমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থী পিছু এক একজন নাপিত ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বখশিশ নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়

মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কয়েক নাপিত।

তাদের মধ্যে একজনের দাবি, ‘‘পুণ্যর্থীদের মধ্যে কেউ কেউ চুল কাটার পর খুশি হয়ে সামান্য টাকা দিতেন। কেউ ১০, কেউ আবার ২০ টাকা। সবটাই খুশি হয়ে। এর মধ্যে ঘুষের প্রশ্ন উঠছে কোথায় থেকে?’’