বগুড়া সদর আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ আসনের ভোটাররা প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দিচ্ছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। ভোট শুরুর পর কোথাও কোনো অপীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সাত প্রার্থীর মধ্যে নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গলের মধ্যে লড়াই হবে। প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক টি জামান নিকেতা (নৌকা), জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ (ধানের শীষ), জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের জেলা আহ্বায়ক ড. মনসুর রহমান (ডাব), মুসলিম লীগের মুফতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম (হারিকেন), স্বতন্ত্র প্রার্থী মালয়েশিয়া যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মণ্ডল (আপেল) ও সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু (ট্রাক)।

বগুড়া উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাহবুব আলম শাহ্ জানান, বগুড়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ও সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন নিয়ে বগুড়া-৬ (সদর) আসন। ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ জন। তারা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৪১ কেন্দ্রে ৯৬৫ বুথে ইভিএমে ভোট দেবেন ভোটাররা।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বগুড়া পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্র জানায়, ১৪১ কেন্দ্রের মধ্যে ১১১টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনে সহিংসতা এড়াতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় সাড়ে তিন হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাঁচ পুলিশ ও সাধারণ কেন্দ্রে এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে চার পুলিশ রয়েছে। এছাড়া ১৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, প্রতি কেন্দ্রে ১২ আনসার সদস্য, র্যাবের ৮ সদস্যের ১৪টি টিম দায়িত্ব পালন করছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছে ২৬টি ভ্রাম্যমাণ টিম।

গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মহাজোটের পক্ষে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ওমরকে। তিনি বিএনপি প্রার্থী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। ৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৭ হাজার এবং মহাজোট প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর পায় ৪০ হাজার ভোট। পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।