বঙ্গবন্ধুর নামও ঠিকভাবে লিখতে পারেন না ছাত্রলীগ ঢাবি সভাপতি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ভুল লিখেছেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান।

গতকাল শনিবার বিকেলে এই পোস্ট করে সমালোচনার মুখে পড়েন এই নেতা।

স্ট্যাটাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে বঙ্গবন্ধুর নাম দুবারই ভুল লিখেছেন আবিদ আল হাসান।

আবিদ লিখেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা।‘

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের এক বিজ্ঞপ্তিতে একই ভুল করেন ছাত্রলীগের এই নেতা।

গতকাল শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান। সেখানে অংশগ্রহণের ছবির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনেই তিনি এই ভুল করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, ‘এটা সফটওয়ারগত অথবা ফন্টের সমস্যা হতে পারে।’

এদিকে, ছাত্রলীগ নেতার এমন ভুলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভুল করা কাম্য নয়। কেননা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করেই ছাত্রলীগ রাজনীতি করে। সে ক্ষেত্রে আবিদ আল হাসানের এই ভুল কাম্য নয়।’

অপর এক নেতা আবিদ আল হাসানের সমালোচনা করে বলেন, ‘মনেপ্রাণে যাঁরা বঙ্গবন্ধুকে লালন করেন, তাঁরা কখনো ভুল করতে পারেন না।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম ও উচ্চারণ সবাইকে শতভাগ শুদ্ধ করে বলতে হবে এবং লিখতে হবে। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে তাঁর নামের বানান ভুল লেখা কাঙ্ক্ষিত নয়।’

এর আগে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ২০০৭ সালের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার ছবিকে ১/১১-এর ছবি বলে অনুসারীদের দিয়ে ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায় এই নেতার বিরুদ্ধে।

সে সময় আবিদ আল হাসানের অনুসারীরা ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আবিদ আল হাসান।’

অথচ এটি ২০০৭ সালের আগস্ট মাসের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার ছবি। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে বিতর্ক তৈরি হয়।