বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল আল্লাহ প্রদত্ত : রওশন এরশাদ

একাত্তরের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটাকে ‘আল্লাহ প্রদত্ত’ ও ‘আল্লাহর রহমত’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। এই ভাষণ একমাত্র বঙ্গবন্ধুর মতো নেতাই দিতে পারেন বলে মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উপলক্ষে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ ধন্যবাদ প্রস্তাবটি সংসদে উত্তাপন করেন।

রওশন এরশাদ বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের মর্মার্থ হলো স্বাধীনতা, স্বাধীনতা। বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার এই ভাষণ। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মূল্যায়নে এই ভাষণ মূল্যায়িত হয়েছিল।’ এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষীদের উক্তির উদ্ধৃতি দেন।

বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেন, ‘এই ভাষণ বাঙালি জাতির অহংকার। সেই ভাষণের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাঙালি জাতির একটি দেশ হবে। এই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে ঋণী করেছেন। সেই ভাষণের কারণেই আমরা একটি দেশ পেয়েছি, একটি পতাকা পেয়েছি, আজ স্বাধীন দেশের সংসদ সদস্য হতে পেরেছি।’

জাতীয় পার্টির নেত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা সত্যিই আনন্দিত, আমরা আজ উদ্বেলিত।’ তিনি বলেন, ‘ভাষণটি শুনে মনে হয়েছিল বাঙালি জাতির জন্য তাঁর চেয়ে বড় কোনো নেতা হতে পারেন না। তিনি সেদিন সিংহের মতো গর্জন করে উঠেছিলেন। যে আবেগ ও উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি ভাষণটি দিয়েছিলেন সেটি আল্লাহর রহমত। আমি মনে করি এটা আল্লাহ প্রদত্ত।’

রওশন এরশাদ জানান, একবার বিমানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই সময় ৭ মার্চের ভাষণের কথা তাঁর স্মরণ হয়। বঙ্গবন্ধুকে দেখে তিনি বুঝেছিলেন তাঁর দ্বারাই এ ধরনের ভাষণ দেয়া সম্ভব।

সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এখনো আমরা তা করতে পারিনি। যেদিন আমরা তা করতে পারবো সেদিনই মনে হবে এই ভাষণ সার্থক।’ এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে কুক্ষিগত করে না রেখে জনগণের মধ্য ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান।