বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত জিয়া : কূটনীতিকদের আ.লীগ

কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘৪২টি দেশের কুটনীতিকদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। এই বৈঠকে রাজনৈতিক কোনো আলাপ হয়নি। ১৫ আগস্টের পুরো ঘটনা বিদেশি কূটনীতিকরা তেমন বেশি কিছু জানেন না। তাদের কাছে মূল ফ্যাক্ট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে।’

‘এই হত্যার সঙ্গে যে জিয়া জড়িত ছিল, খুনি ফারুক-রশীদ দেশি বিদেশি সাক্ষাৎকারে জিয়া জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সেসব ডকুমেন্টস তাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।’

শাম্মী জানান, বঙ্গবন্ধু এই বাড়িতে থাকতেন তা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন কূটনীতিকরা।

বৈঠকে সূত্র জানায়, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনীতিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনিও ঘটনার পরম্পরায় বিশ্লেষণ করে বিদেশিদের বলেন, এই ঘটনায় কীভাবে জিয়া জড়িত ছিলেন।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ‘ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাযজ্ঞ এটি। এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করাই ছিল এ হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য।’

১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাপস বলেন, ‘মাত্র তিন বছর বয়সে আমার মা আরজু মনি, বাবা শেখ ফজলুল হক মনির রক্তাত দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছি। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান কূটনীতিকদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘এই হত্যার পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ কারা করেছিল, কেন করেছিল এগুলো বিশ্লেষণ করলে পরিস্কার হয়ে যায় এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য কী?’

বৈঠকে ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের সুবিধাভোগী কারা তা তুলে ধরেন শাম্মী আহমেদ।

পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর কূটনীতিকদের ঘুরে দেখান উপকমিটির নেতারা। বৈঠকে ১৫ আগস্টের উপর নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও চিত্র, এই হত্যাযজ্ঞের উপর দেশি বিদেশি বিভিন্ন লেখা, তদন্ত রিপোর্ট কূটনীতিকদের হাতে তুলে দেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মান, নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান, ভারত, চীনসহ ৪২ টি দেশের কূটনীতিক ও তাদের প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।