মনোনয়ন সিদ্ধান্ত : ঝুলে রইলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন স্থগিত রেখেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ এবং টাঙ্গাইল-৮ এই দুই আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু ঋণখেলাপির অভিযোগে গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি।

শনিবার নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি শেষে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। তার মানে, এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।

এর ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি লড়তে পারবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন।

শনিবার সকাল ১০টার কিছু পরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ১১ তলায় এ লক্ষ্যে গঠিত এজলাসে আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিচারকদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত বৃহস্পতিবার থেকে এই আপিল শুনানি শুরু হয়। এর মধ্যে প্রথম দিন ১৬০টি আবেদনের ওপর শুনানি করে ৮০ জনের প্রার্থিতাকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর গতকাল শুক্রবার ১৫০টি আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এর মধ্যে ৭৮ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। পাশাপাশি এদিন ৬৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল এবং সাতজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন। দুদিনে মোট ১৫৮ জন তাদের মনোনয়ন ফিরে পান। এতে ভোটের মাঠে তাদের লড়াইয়ের আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকল না।

মনোনয়নপত্র বাছাইকালে দুই হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আওয়ামী লীগের তিনটি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র রয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি। এর মধ্যে আপিলের আবেদন এসেছে ৫৪৩টি।

৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট দুই হাজার ৫৬৭টি, আর স্বতন্ত্র ছিল ৪৯৮টি।

আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।