বছরের শুরুতেই জীবনটা নতুন ভাবে উপভোগ করুন

নতুন বছরের নতুন দিনের শুরু। জীবনটা নতুনভাবেই তাই শুরু করতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমেই যে কাজটা জরুরি তা হলো, কিছু জিনিস বাদ দেওয়া এবং নতুন কিছু গ্রহণ করা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জেনে নিন-

নিজের শিক্ষা ও জ্ঞানকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিন। শর্তহীনভাবে নিজেক ভালোবাসুন। আপনি যেমনই হোন না কেন, মনে আক্ষেপ রাখবেন না। নিজের পছন্দ, ভালোবাসা এবং আন্দের বিষয়গুলো কি কি তা লিখে রাখুন। অতীতের বিষয়ে নিজেকে এবং অন্যদের ক্ষমা করতে শিখুন।

সামাজিক জীবনে অভ্যস্ত হোন। কেবল সোশাল মিডিয়া নিয়ে পড়ে থাকবেন না। আমাদের জীবন এখন সোশাল মিডিয়া কেন্দ্রিক হয়ে আছে। বাস্তবতায় ফিরে আসুন। পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সময় দিন। ধূমপান ত্যাগে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে হার্ট ডিজিস, ডায়াবেটিস, কোলন ক্যান্সার, পেশির জটিলতা, ব্যাক পেইন, ডিপ ভেইন-থ্রম্বসিস, ব্রিটল বোনস, বিষণ্নতা এবং ডেমেনশিয়ার মতো দূরারোগ্য ব্যধিতে ভুগতে হয়। তাই হাঁটাহাটির অভ্যাস করতে হবে। দিনে ৭-৮ ঘণ্টা অফিসে বসেই কাটে সবার। কিন্তু প্রতিঘণ্টা পর অন্তত ৫ মিনিটের বিরতি নিতে হবে।

ঘুমের সময় ঠিকঠাক করে নিতে হবে। ঘুমের অভাবে জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। রাতে ৮ ঘণ্টার ঘুমের পরামর্শ বহু পুরনো।
নতুন বছরে তাই ঘুমের বিষয়ে গুরুত্ব দিন। ঘুম পরদিনের কাজের শক্তি জোগায়। আর সকাল সকাল উঠে পড়ার চেষ্টা করবেন। অযথাই মোবাইলের স্নুজ বাটন চেপে নিজের বারোটা বাজাবেন না।

বিশ্রামের গুরুত্ব কোনভাবেই এড়িয়ে চলা যাবে না। সব সময় কাজে পড়ে থাকার কারণে বহুরোগ দেখা দেয়। এমনটা চলতে থাকলে দেখা দেবে উদ্বেগ, হৃদযন্ত্র সংশ্লিষ্ট রোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ মস্তিষ্কের সমস্যা। জীবনের চারদিক থেকে নেতিবাচক মানুষগুলোকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা হাতে নিন। আপনি নিজেই সরে আসুন। এ ধরনের মানুষকের সান্নিধ্যে খুব সহজেই যাওয়া যায়। তাই চারপাশে এদেরই দেখা যায়। যদিও তাদের চারপাশে থেকে উপভোগ্য সময় কাটাতে পারবেন। কিন্তু সফলতা ধীরে ধীরে দূরে চলে যাবে। কিন্তু ইতিবাচক ও সফল মানুষের সংস্পর্শ আপনাকে ক্রমশ ওপরের দিকে নিয়ে যাবে।