বন্ধুর জন্য নিজের সব টাকা দিতে রাজি পাঁচ বছরের শিশু

মাটির তৈরি একটি ব্যাংকে টাকা জমাতো পাঁচ বছর বয়সের সানসাইন ওলকে। হঠাৎ একদিন তাকে ব্যাংক থেকে সব টাকা-পয়সা বের করে নিতে দেখেন তার দাদিমা। নাতনির কাছ থেকে টাকা বের করার কারণ জেনে একেবারে হতবাক হয়ে পড়েন তিনি।

সানসাইন তার দাদিকে জানায়, ওই টাকা সে স্কুলে নিয়ে গিয়ে বন্ধুকে দেবে। যাতে তার বন্ধু দুধ খেতে পারে। সানসাইন আরও বলে যে, তার বন্ধুর মায়ের কাছে দুধ কেনার টাকা নেই। সে কারণে নিজের ব্যাংক ভেঙে বন্ধুকে টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।

সানসাইনের স্কুলের মতো, বিদেশের প্রাথমিক স্তরের স্কুলগুলোতে শিশুদের খাবারের দেয়া হয়। যার পরিবর্তে, মাসিক কিছু টাকার অঙ্ক জমা দিতে হয় কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে।

পর দিন সানসাইনকে সঙ্গে নিয়েই স্কুলে যান দাদি জ্যাকি। শিক্ষিকা রিতা হশারকে সব কথা জানান তিনি। পরে স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য নিয়েই একটি তহবিল তৈরি করেন তিনি। নাম দেন ‘গো ফান্ড মি’; মাত্র এক মাসের মধ্যেই প্রায় ১৩ হাজার পাঁচশ ডলার জমা পড়ে সেখানে।

জ্যাকি ওলকে জানান, এতে করে শুধু সানসাইনের বন্ধুই নয়, ক্লাসের অন্য বাচ্চাদেরও দুধের সংস্থান হয়ে গেছে। একদিন সানসাইন বড় হয়ে অন্য কোথাও চলে যাবে। কিন্তু এই ফান্ড এভাবেই হাসি ফোটাবে ছোটো শিশুদের মুখে বলেও মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সানসাইন তার দাদিকে জানিয়েছিল, সে তার বন্ধুর সঙ্গে বসে ‘চকোলেট মিল্ক’ খেতে ভালবাসে।