বন্ধ করা হলো হানিফ ফ্লাইওভারের সিঁড়ি

রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার সিঁড়ি বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

মঙ্গলবার সিঁড়ির প্রবেশ মুখে (ওপরে ও নিচে) রড দিয়ে ঝালাই করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

গতকাল সোমবার হানিফ ফ্লাইওভারের সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন আদালাত। ওরিয়ন গ্রুপ কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ সিঁড়ি অপসারণের আদেশ দেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি নেই।’

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলিরা মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সচিত্র প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছিলেন। আদালত তা আমলে নিয়ে উক্ত আদেশ দেন।

গত ৩১ মে দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সড়ক ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ছয়-সাতটি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জল। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ছয়-সাতটি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন আছে। এসব স্টেশনে বাস ও লেগুনা থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামার কারণে প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৩-৪ মাসে ফ্লাইওভারের ওপরে ১০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া বাসস্টেশন থাকার কারণে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে।