বন্যা কমলেও দুর্ভোগ কমেনি

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে দুর্ভোগ কমেনি বানভাসিদের।

ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখনো তলিয়ে আছে চরাঞ্চলের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি। ফলে বাড়িতে ফিরতে পারছে না বানভাসিরা। এখনও উঁচু বাঁধ, পাকা সড়ক ও নৌকায় বসবাস করছেন দুর্গম চরাঞ্চলের বানভাসি পরিবার।

টানা ৭ দিন পানিবন্দি থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যা দুর্গত এলকার মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। ছড়িয়ে পড়েছে পানি বাহিত নানা রোগ। বন্যা দুর্গত এলাকায় চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। নৌকা দেখলেই ত্রাণের আশায় ছুটছে বানভাসিরা।

সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতায় দুর্গম চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের ভাগ্যে জুটছে না কিছুই।

এখনো বন্ধ রয়েছে ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলা প্রশাসক থেকে এ পর্যন্ত ৩০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, ৯৫১ মেট্রিক টন চাল এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা ৪ লক্ষাধিক বানভাসির জন্য অপ্রতুল।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী রোববার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন।