বলতে পারেন, জামায়াত বিএনপি হয়ে গেছে : ফখরুল

জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীকে এবার বিএনপি একটি আসনেও ছাড় দেয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, জামায়াত এখন বিএনপি হয়ে গেছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা দল জামায়াতে বহু মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যের পরদিন এই মন্তব্য এলো দলের মহাসচিবের পক্ষ থেকে।

শুক্রবার বিকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন ফখরুল।

নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের একার দলীয় প্রতীকে ভোট করার সুযোগ ছিল না। এতদিন দলটির সিদ্ধান্ত ছিল, তাদের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন। তবে এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ ব্যবহার করবেন জামায়াতের প্রার্থীরা।

বিএনপি ২৫টি আসনে জামায়াত নেতাদেরকে ধানের শীষ ব্যবহারের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে বলেও গণমাধ্যমে খবরে এসেছে।

জামায়াতকে কয়টি আসন দেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জামায়াতকে কোনো আসন দেওয়া হয়নি। সবখানে ধানের শীষের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। বলতে পারেন, জামায়াত বিএনপি হয়ে গেছে।’

এবারের নির্বাচন সুষ্ঠ হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না বলে মনে করেন ফখরুল।
দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়-এমন অবস্থানের কারণে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। তবে তারা এবার ভোটে এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচনটা দিন না! কে কত আসন পায়। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না।’

‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে কি না তা নির্ভর করবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপর। আমরা বিগত সাত বছর সংবিধান সংশোধনসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা আলোচনা করেছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও, কিন্তু কিছুই করেননি। সরকার কোন কর্ণপাত না করে তারা একতরফা নির্বাচন করতে ও তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।’

‘আমরা বারবার অভিযোগ করার পরও আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেই চলেছে। কোন ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়নি।’
তফসিল ঘোষণার দিন ৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে ২৫ জন, ঢাকা মহানগরে ৩৯৪ জন, মানিকগঞ্জ ও বগুড়ায় ৫৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান ফখরুল। বলেন, ‘এই অবস্থায় কতটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? নির্বাচন কমিশনকে এখনও বলছি এসব বন্ধ করতে হবে তা না হলে নির্বাচনের পরিবেশ কী হবে তা আমরা বলতে পারছি না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।