বস্তিবাসীদের জন্যও হবে বহুতল ভবন : প্রধানমন্ত্রী

সরকারি চাকুরেদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত বস্তিবাসীদের জন্যও বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বস্তিবাসীরা অতিরিক্ত ভাড়ায় থাকে। এই টাকায় তাদের জন্য মানসম্মত আবাসন দেওয়া সম্ভব।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বস্তিতে মানবেতর জীবন যাপন করে। কিন্তু তাদেরকে উচ্চ হারে ভাড়া দিতে হয়। বস্তির ভাড়া কিন্তু কোনো অংশে কম না। এইগুলোর অনেক খোঁজ খবর আমরা নিয়েছি।’

‘সেখানে অনেক বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে খুব কষ্ট করে তাদের থাকতে হয়। তারা ভাড়া দিয়েই থাকে তাই ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করে তাদের দেওয়া যায়। আর এই ভাড়াটা যেন তারা প্রতিদিন হিসেবে দিতে পারে বা সাপ্তাহিক হিসেবে কিংবা মাস শেষে দিতে পারে।’

‘সেই ব্যবস্থা রেখেই বস্তিবাসীর জন্য বস্তিতে না থেকে তারা যেন তাদের জন্য নির্মিত ফ্ল্যাটে থাকতে পারে সেইভাবে একটা ব্যবস্থা আমরা করব।’

সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত এক হাজার ৬১৭টি ফ্ল্যাটের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের জন্য এক হাজার ৫১২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করে সেগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আরো ১৬টি প্রকল্পে দুই হাজার ৩৫০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে এবং ১৩টি প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

সেইসঙ্গে সরকারি চাকুরেদের মতো বেসরকারি চাকুরে বা অন্যরাও সরকারি আবাসনের সুবিধা পাবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে বিক্রির জন্য ৩৩ হাজার ৫২৬ প্লট উন্নয়ন ও আট হাজার ৯২২ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।’

‘এরই মধ্যে উত্তরায় দ্বিতীয় পর্বে ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট উদ্বোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৮ হাজার ১০৫টি প্লট উন্নয়ন এবং আট হাজার ৩৯ টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে। সারা দেশে আরও ১৮ হাজার ১৪৮টি প্লট উন্নয়ন ও এক লক্ষ ৪১ হাজার ৬৮৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমগুলে সমাপ্ত হলে নাগরিকের আবাসন সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।

ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রাখারও তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে যেখাবে আবাসিক ও বাণিজ্যক ভবন বা শিল্প গড়া যাবে না। ‘আর স্কুল কলেজ যাই হোক না কেন, সেগুলো কিন্তু সুষ্ঠু পরিকল্পনার মধ্যে হতে হবে। তার জন্য প্রত্যেকটা উপজেলায় মাস্টারপ্ল্যান করে তার উন্নয়ন করতে হবে।’

‘রাস্তাঘাট বিল্ডিং যাই হোক, সব পরিকল্পিতভাবে করতে পারলে আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করতে পারব। আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিতে পারব।’