বস-টু ও নবাব নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন তথ্যমন্ত্রী

যৌথ প্রযোজনার ছবির ইস্যুতে ঢালিউড অঙ্গনে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘নবাব’ ও ‘বস-টু’ ছবি দুটির মুক্তি ঠেকাতে একদিকে মরিয়া হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর জোট ‘চলচ্চিত্র ঐক্যজোট’।

অন্যদিকে এই ছবিগুলোর পক্ষ হয়ে অবস্থান করে পাল্টা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ছবির প্রযোজক ও হল মালিক সমিতি। সম্প্রতি চলচ্চিত্র ঐক্যজোট নিষিদ্ধ করেছে শাকিব খান ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের। এমনকি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পদত্যাগ দাবিও করছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে এবার খোলাখুলিভাবে কথা বলছেন তথ্যমন্ত্রী।

শনিবার (২৪ জুন) রাতে একাত্তর টিভির সাক্ষাৎকারে এসে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সেন্সর বোর্ডের বৈঠকে আক্রমণ করা একদম নীতি বহির্ভূত কাজ। এর সঙ্গে যৌথ ছবি নির্মাণের কোন সম্পর্কই নাই, মানে তাদের কোন দোষই নাই। ওখানে যে সম্মানীত সদস্য নওশাদ সাহেবের গায়ে হাত দিয়েছে, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। এবং বাংলাদেশের পদকপ্রাপ্ত শিল্পী যারা মিশা তাদের উপস্থিতিতে এই লাঞ্ছনার ঘটনা অভূতপূর্ব খারাপ ঘটনা।

আবারও বলছি, যৌথ সিনেমার নির্মাণ থেকে শুরু করে আমার ঐ এফডিসিতে প্রিভিউ কমিটি সব সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে কোনো মন্ত্রীও বসে না, সচিবও বসে না কিন্তু। আমি মনে করছি যে, কেন এটা হচ্ছে?

চলচ্চিত্র শিল্পের যে পুনরুজ্জীবনের ঘটছে শাকিব খানের নেতৃত্বে, প্রখ্যাত অভিনেতা শাকিব খানের নেতৃত্বে এবং উনি ভারতও মাতানো শুরু করেছেন। দর্শকরা হল থেকে সরে গিয়েছিল কিন্তু। আমি বলি, এই শাকিব খানকে গত কয়েক মাসে দু’বার বহিস্কার করে দিল কিন্তু।

চলচ্চিত্র পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করছি। কিভাবে করছি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পরে অন্ধকার পোড়ো বাড়ি এফডিসি চত্বরকে পুনরুজ্জীবিত করেছি আমি। এখানে প্রায় কত কোটি টাকার মানে যন্ত্রপাতি দিয়েছি, আধুনিক ডিজিটাল যন্ত্রপাতি, ক্যামেরা সব এনে দিয়েছি। এখন আপনি এফডিসিতে যাবেন রমরমা অবস্থা, প্রতিদিন শুটিং হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্প ঘোষণা করেছেন, ছাড় দিয়েছেন।

সবকিছু করার পরে যখন ছবি তৈরি হচ্ছে এবং দর্শকরা আবার ফেরত আসছে, আমি হল সংস্কার করার জন্যে টাকা যোগাড় করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টাকা দিয়ে দেন। আমি দিয়ে দেব, হল ডিজিটাল করুন, যাতে মানুষ হলে যায়।

যাই হোক, আমি যেটা বলতে চাচ্ছি- এই শাকিব খানকে বাদ দিচ্ছে, জাজ মাল্টিমিডিয়া চলচ্চিত্রের পুনরুজ্জীবনের জন্যে ভূমিকা রাখছে। আমি ওদের পক্ষে বা বিপক্ষে না, ওটা আমার কোনো ব্যাপার না। আমি বলছি যে, আজকে জাজ মাল্টিমিডিয়াকে বহিস্কার করে দিল, শাকিব খানকে আজীবন কাজ করতে দেবে না। এই জিনিস গুলো আমার কাছে রহস্য জনক লাগছে।

আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, চলচ্চিত্র জগতের যে পরিবার, যারা প্রখ্যাত অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক তারা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব। সেখানে সরকারকে কেন জড়াচ্ছে? মন্ত্রীকে কেন জড়াচ্ছে? আর আমার কাছে এটা রহস্যজনক মনে হচ্ছে, একটা অস্থিরতা দেখছি।