‘বাংলাদেশকে যারা মানতে পারেননি, তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনি’

আজ শোকাবহ পনের আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে ঘাতকরা বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের চাকা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশকে যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবন। এই সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি জনগোষ্ঠীকে জাতির চেতনায় ঐক্যবদ্ধই শুধু করেননি, তাদের স্বাধীনতার, মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে ভাষা দিয়েছিলেন। সাহসে, শৌর্যে পরাধীনতাকে পেছনে ফেলেছেন। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছয়দফা পেরিয়ে সত্তরের সাধারণ নির্বাচন। এরপর নয় মাসের যুদ্ধ শেষে পাওয়া হল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, ‘হাজার বছরের বাঙালি জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র আমাদেরকে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সেই রাষ্ট্রের অবয়ব কি হবে, সেটাও তিনি নির্মাণ করে গিয়েছেন। কাজেই বঙ্গবন্ধুকে তাঁর স্বপ্নগুলোর মধ্যে দিয়ে চিনতে হবে।’

স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লড়াই থেমে যায়নি। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলার পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দিয়ে চলছিলেন তিনি। এর মাঝেই বাঙালি জীবনে আসে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। দানবরা নারকীয় অন্ধকারের গুহা থেকে বেরিয়ে আসে। আপস.সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

জাতির পিতার হৃদয়জুড়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে কেন হত্যা করা হল বাংলা নামের নবীন রাষ্ট্রটির স্থপতিকে?

রাজনীতিবিদ ও গবেষক অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বোভৌমত্তকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া তৈরি করা হয়েছে। এই হত্যাকরার ভিতর দিয়ে বাঙালির সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক যে অধিকারগুলো তার প্রাপ্য ছিলো এবং যে আকাঙ্খা ছিলো তা নৎসাত করা হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আছেন তাঁর কর্ম, আদর্শ ও দর্শনে।’

চেতনার কি মৃত্যু হয়? হয় না বলেই জাতির সংকটে,সংশয়ে বঙ্গবন্ধুর চেতনা সঠিক পথের নিশানা বাতলে দেয়। আশার মশাল তুলে ধরে আজও। তাইতো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুঞ্জয়ী।