বাংলাদেশকে হারাতে হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ৩২১

লড়াইটা বাংলাদেশ বনাম চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নয়। শ্রীলঙ্কা দলকে নিয়ে বাংলাদেশে খেলতে এসে হাথুরুসিংহে নিজেই বলেছেন কথাটা। শুক্রবার মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে মাশরাফি বিন মুর্তজাও বলেছেন হাথুরুসিংহেকে নিয়ে ভাবছেনই না তারা। কিন্তু সাধারণ দর্শকদের মন কি আর তা মানে? তাদের মনে অনেক আগেই থেকেই যে ত্রিদেশীয় সিরিজটিতে হাথুরুসিংহে এবং টাইগারদের মধ্যে অদৃশ্য একটা লড়াই বাসা বেঁধেছে। বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়ে শ্রীলঙ্কা দলের কোচ হয়ে বাংলাদেশই নিজের প্রথম মিশন শুরু করেছেন হাথুরুসিংহে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের কাঁটাই পেতে হয়েছে তাকে। আর প্রথমবারের মতো সাবেক শিষ্যদের মুখোমুখি হয়ে পেলেন চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। বাংলাদেশকে হারাতে হলে হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ৩২১ রান। শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২০ রান করেছে টাইগাররা। তামিম ইকবাল ৮৪, এনামুল হক বিজয় ৩৫, সাকিব আল হাসান ৬৭, মুশফিকুর রহীম ৬২, মাহমুদউল্লাহ ২৪ আর সাব্বির রহমান অপরাজিত ২৪ রান করেছেন।

৩৩৭ ওয়ানডেতে এটা বাংলাদেশের ১২তম বারের মতো ৩০০ রানের দরজা পেরোনো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ৭ উইকেটে ৩২০ সব মিলে টাইগারদের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৮ উইকেটে ৩২০ একবার ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর সর্বোচ্চ ৬ উইকেটে ৩২৯ রান ২০১৫ সালে এই মাঠেই ঢাকার বিপক্ষে করা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের সর্বোচ্চটা ৫ উইকেটে ৩২৪ রান। সেটি গত বছর ডাম্বুলায় করা। ম্যাচটি ৯০ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। আর এবারে সংগ্রহটি লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ছিল লো-স্কোরিং। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৭০ রানে অল আউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টাইগাররা ম্যাচটা জিতে নেয় ৮ উইকেটে। তবে জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ম্যাচেই রান দেখেছে মিরপুরের দর্শকরা। শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের শততম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ২৯০ রান করে জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কাও লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে করেছিল ২৭৮ রান। ১২ রানে হার তাদের।

সেই ম্যাচের পর উইকেটের বদলে যাওয়া ধরন নিয়ে হয়েছে আলোচনা। অধিনায়ক মাশরাফি বলেছিলেন সেটি হলে বোলারদের জন্য হবে চ্যালেঞ্জিং। তা লঙ্কান বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিংই হলো। টাইগার ব্যাটসম্যানরা দারুণ ভোগালেন তাদের।তিন তিনটি ফিফটি এলো। তামিম ইকবাল ৮৪ রান করলেন। সাকিব আল হাসান ৬৭ ও মুশফিকুর রহীম করেন ৬২ রানে। যে তিন ইনিংসে ভর করে বড় স্কোর টাইগরারদের। মাশরাফি বলেছিলেন বোলারদের জন্য কাজটা হবে চ্যালেঞ্জের। নিজের বোলারদের নিয়েই এমনটা বলেছিলেন তিনি। ব্যাটসম্যানরা অবশ্য বোলারদের কাজটাকে সহজই করে দিলেন। কৃত্রিম আলোতে ৩২১ রান তাড়া তো আর সহজ কিছু নয়।