বাংলাদেশী ঠেকাতে নাগরিক তালিকা : বিজেপির প্রধান

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ে জাতীয় নিরাপত্তা নষ্ট করছে , এবং এদের ঠেকানোর জন্যই নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি-র মতো পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

শনিবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিজেপির এক জনসভায় মি শাহ বলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ভোটব্যাংকের স্বার্থে ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের’ রেখে দিতে চান।

কিন্তু, তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী (কংগ্রেস) বা মমতা ব্যানার্জী যতই এনআরসি প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করুন, সেটা বন্ধ হবে না।”

আসামে নতুন নাগরিক তালিকা তৈরির তীব্র প্রতিবাদ করছেন মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এ ধরণের যে কোনো উদ্যোগ তিনি হতে দেবেন না।

কিন্তু বিজেপি সভাপতি কলকাতার জনসভায় খোলাখুলি বলেছেন, আসামের মত পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপক হারে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে।

কলকাতায় বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী বলছেন, বিজেপি সভাপতির ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল বাংলাদেশ থেকে তথাকথিত অনুপ্রবেশ।

সভায় হাজির মানুষের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, “আপনারাই বলুন যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা দরকার কিনা!”

“এই মমতা ব্যানার্জীই ২০০৫ সালে পার্লামেন্টে আওয়াজ তুলেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গেছে – বামফ্রন্ট তাদের নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে,অথচ এখন সেই তিনিই আসামে বা পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের রেখে দিতে চান – কারণ এঁরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক।”

এরপরে আবারও উপস্থিত জনতার কাছে তিনি বলেন, “আপনারাই বলুন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা দেশের সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক কি না! পশ্চিমবঙ্গে যে সব বোমা বিস্ফোরণ হয়, সেগুলো বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা করে কি না, সেটা জনতাই বলুক।”

মি শাহ তাদের ঘোষিত হিন্দু রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যত শরণার্থী রয়েছে – হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান – তাদের কাউকে তাড়ানো হবে না – সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এনআরসি ইস্যুতে শনিবার ‘কালা দিবস’ হিসাবে পালন করেছে। তারা মিছিল-মিটিং করেছে। পোস্টারে সারা কলকাতা ছেয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাষা ছিল – বিজেপি বাঙালী বিরোধী, কারণ তারা এন আর সি-র মাধ্যমে আসাম থেকে বাঙালিদের তাড়াতে চাইছে।