বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেল না সেই উইন্ডিজ

ম্যাচ জয়ের যেন কঠিন প্রতিজ্ঞা নিয়েই নেমেছিল বাংলাদেশ। বেশ সতর্ক ব্যাটিংয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। অবশ্য ইনিংস গড়াতেই হেসে উঠল সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবালের ব্যাট। আর তাতেই বাংলাদেশ পেয়ে গেল জয়ের ভিত। ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করল টাইগাররা।

মঙ্গলবার ডাবলিনে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬১ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই দলটিই আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে তুলোধুনো করে তুলেছিল ৩৮১ রান। সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ।

আজকের ম্যাচে অবশ্য ছিলেন না ক্যাম্পবেল। কিন্তু হোপ ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। যেটি বাংলাদেশের বিপক্ষে তার টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি। কিন্তু এই সেঞ্চুরি সত্ত্বেও অন্যদের ব্যর্থতায় বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় ক্যারিবীয়রা। জবাবে ৪৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই ২৬৪ রান করে এই স্কোর অতিক্রম করে ফেলে বাংলাদেশ।

লক্ষ্যটা বড় না হলেও শুরু থেকেই সতর্ক ছিলেন দুই টাইগার ওপেনার। ডাবলিনের মেঘলা আকাশের নিচে প্রবল শীতের সাথেও লড়াই করতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। তবে সব প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তামিম-সৌম্য। দুইজনই পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। তামিম কিছুটা রয়ে সয়ে খেললেও সৌম্য একসময় স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই ব্যাট করতে থাকেন।

৭টি চার ও একটি ছক্কায় সাজিয়ে ৪৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সৌম্য। বিপরীতে তামিম নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে লাগিয়েছেন ৭৮ বল। ততক্ষণে অবশ্য শতরানের কোটা পার করে ফেলেছে বাংলাদেশ।

এর মধ্যে দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় রোস্টন চেজকে তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ডোয়াইন ব্রাভোর দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন সৌম্য। তার আগে ৬৮ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ফেলেন তিনি।

সৌম্যর বিদায়ের পর তামিমের সাথে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। দেশসেরা দুই ব্যাটসম্যান দ্রুতই স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকেন। দুইজনের জুটিতে ৫২ রান আসার পর আউট হয়ে যান তামিমও। ১১৬ বলে ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিম।

ততক্ষণে অবশ্য জয় থেকে মাত্র ৬৬ রান দূরে চলে আসে বাংলাদেশ। ডাবলিনের আকাশেও মেঘ কাটিয়ে দেখা দেয় সূর্য। ঝলমলে রোদে ভরে ওঠে ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠ।

সেই রোদের উষ্ণতায় জয়ের বাকি কাজটা মুশফিকুর রহীমকে নিয়ে সহজেই সেরে ফেলেন সাকিব। এই দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ৬৮* রানের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৬১* রানে, আর মুশফিক ৩২* রানে।