বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশি বয়সে অভিষেক হয়েছে যাদের

ত্রিশোর্ধ বছর বয়সে জাতীয় ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজে এটাই সবচেয়ে বড় চমক। মূলত ‘এ’ দলের হয়ে তার পারফরমেন্সের কারণে ওয়ানডে দলে ডাক পান ফজলে রাব্বি। তিরিশ বছর বয়সে বাংলাদেশের জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা কম। সেই শর্টলিস্টে নতুন সংযোজন রাব্বি।

বাংলাদেশে কম বয়সেই সিংহভাগ ক্রিকেটারদের অভিষেক হয়ে গেলেও বেশি বয়সে অভিষেকের ঘটনাও আছে। নিকট অতীতে এই ঘটনার সাক্ষী পেসার শুভাশীস রায়। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল শুভাশিস রায়ের।২০০১ সালের পর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত ক্রিকেটারদের মধ্যেও শুভাশিষ সবচেয়ে বেশি বয়সী। ২৮ বছর ৪৪ দিন বয়সে অভিষিক্ত শুভাশিস টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি বয়সে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত বাংলাদেশি।

তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল এনামুল হক মনির। বর্তমানে আম্পায়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়া মনির ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার সময় বয়স ছিল ৩৫ বছর ৫৮ দিন। ওয়ানডে ক্রিকেটে জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচের সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার ছিলেন। সেদিন তার বয়স ছিল ৩৬ বছর ২৫৫ দিন। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে উইকেট শিকারি এই পেস বোলার ৮৬র এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মহসিন কামাল এবং রমিজ রাজাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেছিলেন।

বাংলাদেশে যেখানে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে স্বভাবত একজন ক্রিকেটারের অভিষেক হয়ে যায়, সেখানে কি রাব্বি কখনো ভেবেছেন যে ৩০ বছর বয়েসে জাতীয় দলে ডাক পাবেন? সংবাদমাধ্যমকে ২০০৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষিক্ত রাব্বি বলেন, ‘একটা সময় আর জাতীয় দলের নিয়ে ভাবিনি, শুধু খেলা নিয়ে ভেবেছি। আমি প্রফেশনার ক্রিকেটার সেভাবেই ভেবেছি। ফিটনেসটাই এক্ষেত্রে মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আগে ক্রিকেটাররা এতো ভাবতো না, এখন ফিটনেস নিয়ে সবাই সচেতন। আমার মনে হয় এমন বয়সী আরো ক্রিকেটার সুযোগ পেতে পারে।’

-বিবিসি বাংলা