বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেকে প্রমাণ করতে চান সোয়েপসন

বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দলে ডাক পেয়েছেন লেগ-স্পিনার মিচেল সোয়েপসন। মূলতঃ উপমহাদেশের স্পিন সহায়ক উইকেটের সুবিধা নিতেই স্পিনারদের ওপর জোর দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে দলে অন্তর্ভূক্ত হলেও একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে আশাবাদী সোয়েপসন। আর সুযোগ পেলে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে চান তিনি।

চলতি বছর শুরুর দিকে ভারত সফরে টেস্ট দলের সাথে থাকলেও খেলার সুযোগ হয়নি সোয়েপসনের। ২৩ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার বেশ ভালোভাবেই জানেন অফস্পিনার ন্যাথান লিঁও ও বাঁহাতি স্পিনার অ্যাস্টন আগারই নির্বাচকদের বিবেচনায় তার থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছেন।

শনিবার ডারউইনে অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন ক্যাম্পে সোয়েপসন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি শেষ মুহূর্তে দলে ডাক পেয়েছি। সে কারণেই এটা মনে আসতেই পারে এই মুহূর্তে বাকি দুজন আমার থেকে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু এখানে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এখন আমি শুধুমাত্র নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে কাজ করছি। আশা করছি ভালো কিছুই হবে।

দলে সুযোগ পেতে স্বাভাবিকভাবেই মুখিয়ে আছি। ‘
গত বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে এই লেগ-স্পিনারের দিকে নজর পড়ে কিংবদন্তি অজি স্পিনার শেন ওয়ার্নের। জাতীয় দলে তাকে অন্তর্ভূক্ত করতে ওয়ার্নই নির্বাচকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে চলতি বছর ভারত সফরের আগ পর্যন্ত অবশ্য কুইন্সল্যান্ডের এই বোলারকে দলভূক্ত করা হয়নি। ভারত সফরের অভিজ্ঞতা ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি ইতিবাচক দিক হিসেবেই উল্লেখ করেছেন সোয়েপসন।

তিনি বলেন, ‘ভারতে আমি দলের সাথে থেকে বেশ কিছু বিষয় শিখতে পেরেছি। সফর থেকে ফিরে এসে প্রাক-মৌসুমে আমি মনে করি সেই অভিজ্ঞতা খুব কাজে লেগেছে। ‘

এদিকে অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের মতে, ভবিষ্যতে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে দক্ষতা আগারকে সোয়েপসনের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে। ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ৯৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন আগার যা এখনো এই পজিশনে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়ে আছে।

২৩ বছর বয়সী এই স্পিনার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২টি সেঞ্চুরিসহ ৮টি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন। স্মিথ মনে করেন ধীরে ধীরে আগার বোলার থেকে ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলে নিজের জায়গা ধরে রাখবেন। এমনকি এক সময় সে ৬ নম্বরেই উঠে আসতে পারে বলে স্মিথ বিশ্বাস করেন।