বাংলাদেশে এসে আবর্জনা দেখে পরিষ্কারে নামলেন দুই পর্যটক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার হামহাম জলপ্রপাতে বেড়াতে এসে দুই বিদেশি পর্যটক পরিষ্কার করলেন বাংলাদেশি পর্যটকদের ফেলে যাওয়া আবর্জনা।

মঙ্গলবার দুপরে জলপ্রপাতে বেড়াতে এসে এসব আবর্জনা দেখে পরিষ্কার অভিযানে নামেন নেদারল্যান্ড থেকে ঘুরতে আসা দুই বিদেশি পর্যটক লুই ও ডিডারিক।

তাদের সঙ্গে থাকা ট্যুর গাইডের সূত্রে জানা যায়, বেড়াতে এসে হামহাম এলাকায় ফেলে রাখা বিভিন্ন পলিথিন, চিপসের প্যাকেট ও প্লাস্টিকের বোতল দেখে হতাশা ব্যক্ত করেন এই দুই বিদেশি পর্যটক।

পরবর্তীতে নিজেদের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন তারা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সময় ধরে হামহামের পরিচ্ছনতার পাশাপাশি প্লাস্টিকের বিভিন্ন বর্জ্য আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করেন ভিনদেশি দুই পর্যটক।

তাদের সঙ্গে থাকা ইকো ট্যুর গাইড ও ভ্রমণবিষয়ক লেখক শ্যামল দেববর্মা বলেন, আমরা সর্বত্র কোনো না কোনোভাবে পরিবেশ দূষণ করছি। অথচ আমাদের একটু সচেতনতায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হতে পারে, এটি আমরা মানছি না। এখানে যারা বেড়াতে আসেন তারা বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা ফেলে যান। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেললে এমন হতো না। অথচ আজ দুই ভিনদেশি পর্যটক এসব আবর্জনা দেখে নিজেরাই পরিষ্কার করেন। এটি আমাদের জন্য অনুকরণীয়।

মৌলভীবাজার জেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, আমরা যে কত অসচেতন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন এই ঘটনায় আবারও তা প্রমাণিত হলো। বিদেশিরা আমাদের সৃষ্ট আবর্জনা পরিষ্কার করছেন বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমাদের উচিত পরিবেশকে গুরুত্ব দেয়া এবং পরিবেশের যত্ন নেয়া।

তিনি আরও বলেন, শুধু আবর্জনার ক্ষেত্রে নয়, অন্য সবকিছুতেই আমাদের কমনসেন্সের অভাব। বিদেশিরা আমাদের সংরক্ষিত বনে এসে নীরবে উপভোগ করেন, আর আমরা লাউড স্পিকার নিয়ে মাইক বাজিয়ে বনের ভেতর ঘুরি। বন্যপ্রাণী দেখলে ঢিল ছুড়ি। এসব বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার।