বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির অবস্থান নির্ধারণ সূচকে এবার বাংলাদেশের অবস্থানের দুই ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। তবে দুর্নীতি কমলেও তা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কারণ হিসেবে দায়ী করছে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, অর্থ পাচার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ঘাটতিকে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের দুর্নীতির ব্যাপারে কী ধারণা, তা জেনে একটা দেশের দুর্নীতির অবস্থান নির্ধারণ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং তা সূচকের মাধ্যমে প্রকাশ করার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়। এই সূচক অনুযায়ী গত বছর বাংলাদেশ শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ১৫তম অবস্থানে ছিল। এবার দুই ধাপ উন্নতি হয়ে তা হয়েছে ১৭তম।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সম্ভবত ভালো স্কোর করেছি এই কারণে যে আমাদের যে আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং নীতিকাঠামো আছে, সেটার মধ্যে পটেনশিয়ালস, সম্ভাবনা প্রচুর আছে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো। এ রকম একটা ধারণা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে হয়েছে, যেটার ফল হিসেবে হয়তো আমাদের স্কেরের দুই পয়েন্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে বলা যেতে পারে।

তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে করা অঙ্গীকার বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে ফল আরো ভালো হয়নি বলেও মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

তবে টিআইবি বলছে, দুই ধাপ উন্নতি হলেও তা প্রত্যাশিত নয়। কেননা, এখনো দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এর আগে রয়েছে কেবল আফগানিস্তান।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ ভুটান এবং তার পরই রয়েছে ভারত। অন্যদিক রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া আর সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয় নিউজিল্যান্ডে।