বাংলাদেশে নারীদের মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ কী?

বাংলাদেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে নারীর সংখ্যা খুব কম নয়। জাতিসংঘের হিসাবে বাংলাদেশে ১৩ লাখ নারী মাদকাসক্ত। তাদের বেশিরভাগই আবার শিক্ষার্থী, আর আসক্তির শুরু বন্ধুদের মাধ্যমে।

মনোবিদরা বলছেন, অন্য অনেক কারণের সঙ্গে সবার মধ্যে থেকেও একাকীত্ব নারীর মাদকাসক্তির এক কারণ। এজন্য পরিবারকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

প্রথমে ঘুমের ওষুধ এবং পরে ফেনসিডিল। এভাবে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন এক গৃহিণী। তার স্বামী বিদেশে থাকেন। পরিবারের দাবি, একাকীত্ব গ্রাস করে নিয়েছিলো তাকে। নিঃসঙ্গতা থেকে ধীরে ধীরে তার মাদকসক্তি।

বাংলাদেশে এরকম মাদকাসক্ত নারীর সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন জরিপের তথ্য অনুযায়ী মাদকাসক্তদের মধ্যে নারী ১০ থেকে ২০ শতাংশ।

মাদক বিরোধী সংস্থা মানস বলছে, দেশে প্রায় ৭০ লাখ মাদকাসক্তের ১১ লাখ নারী। জাতিসংঘের গবেষণায় বলা হয়েছে, ৬৫ লাখ মাদকাসক্তের মধ্যে নারী ১৩ লাখের বেশি।

তবে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জরিপ বলছে, ৪০ লাখ মাদকাসক্তের মধ্যে নারী প্রায় চার লাখ। ওই জরিপে বলা হয়, মাদকাসক্ত নারীর ৮০ শতাংশের আসক্তি হয়েছে বন্ধুদের মাধ্যমে।

ছেলেদের মতো মেয়েদেরও মাদকাসক্তির প্রবণতা বাড়ার জন্য মনোবিদ ও সমাজতত্ত্ববিদরা নানা কারণের কথা বলছেন।

সমাজকর্মীরা মনে করেন: শুধু নারী নয়, মাদক থেকে তরুণ সমাজকে বাঁচানোর জন্য পরিবার হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কুল। তবে নিজের ইচ্ছাশক্তিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আসক্তি ঠেকানোর সবচেয়ে বড় উপায় মাদককে শুরুতেই না বলা। কিন্তু, যে নারীরা আসক্ত হয়ে পড়েছেন তাদের জন্য আলাদা তেমন কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র নেই।

মনোবিদ ও সমাজতত্ত্ববিদরা বলছেন, ছোটবেলা থেকেই জীবন গোছানোর সময় মা-বাবা সন্তানের পাশে থাকলে মাদককে ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে তো অবশ্যই।

বিস্তারিত দেখুন চ্যানেল আই’র ভিডিও রিপোর্টে: