বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিলুপ্তি চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রথার বিলুপ্তি চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউ সদস্য দেশগুলোর মিশনপ্রধান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল এক বিবৃতিতে বলেছে, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে অপরাধ দমন করা যায় না এবং কোনো ভুল রায়ও সংশোধন করা যায় না।

রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ দূতাবাস থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ অক্টোবর বিশ্ব মৃত্যুদণ্ড সাজাবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই দিনেই বাংলাদেশে ১৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের বহুল আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া ওই মামলায় ৪৯ জন আসামির মধ্যে বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছে- ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি রেঞ্জি তিরিঙ্ক, ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পাল্মা, স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত ডি আলভারো ডি জিমিনেজ, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চার্লাতো স্কায়ার, ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি, অ্যানিক বার্ডিন, জার্মানির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মিখাইল স্কালথিসিস, ডেনমার্কের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রেফিকা হায়েতা, নেদারল্যান্ডসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জেরোইয়েন স্টিগস এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার কানবার হোসেন বর।