বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া : এক ম্যাচে ৭ বিশ্বরেকর্ড

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিটা আরেকটু বড় হলেই নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজ স্টেডিয়াম আমরণ মনের মণিকোঠায় ফ্রেমবন্দী হয়ে থাকতো বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের। মূলত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রানের জবাবে লিটন কুমার দাসের আউটের পর দুই ভায়রা ভাই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ যেভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তাতে পুনরায় স্বপ্ন দেখা শুরু করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাদের শতউর্ধ্ব জুটির পথচলা দেখে বিশ্ব ক্রিকেট ধরে নেয় আজ রের্কড গড়তে যাচ্ছে মাশরাফিরা। কিন্তু ভাগ্য দেবী পাশে না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। তারপরও ম্যাচটিতে বেশ কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। যা গো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস সমন্বয়ে মোট ৭১৪ রান হয়। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

রুবেল হোসেনের করা ৪৬তম ওভারে ২৫ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া। যা চলতি আসরে এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের ৩৮তম ইনিংসে ২৪ রান নিয়েছিল বাংলাদেশ।

নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ৩৮১ রানের চেয়ে বেশি মাত্র ২টি স্কোর রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।

ডেভিড ওয়ার্নারের ১৬৬ রানের ইনিংসটি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। গত বিশ্বকাপে এই ওয়ার্নারই আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৭৮ রান।

বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে দুইবার ১৫০+ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়ার্নার। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি ওয়ার্নারের ষষ্ঠ ১৫০+ রানের ইনিংস। শুধুমাত্র রোহিত শর্মারই তার চেয়ে বেশি (৭ বার) ১৫০+ রানের ইনিংস খেলার নজির রয়েছে।

বিশ্বকাপে এবারই প্রথমবারের মতো শুরুর দুই উইকেটে শতরানের জুটি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে সবমিলিয়ে মাত্র চারবার দেখা গেছে এমন নজির।

ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি। তার চেয়ে কম ইনিংসে ১৬টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড হাশিম আমলার (৯৪ ইনিংস) দখলে।