বাংলাদেশ যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বলেছেন, দুটি বৃহৎ সংসদীয় বিশ্ব সংস্থা সিপিএ ও আইপিইউ’র নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে, যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শুক্রবার স্থানীয় একটি হোটেলে সফররত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে একথা বলেন তিনি।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৩৬তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির সফল আয়োজনের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী নভেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ৬৩তম সিপিএ সম্মেলন সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দুদেশের সংসদীয় প্রক্রিয়া, আসন্ন ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) সম্মেলন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) অ্যাসেম্বলি, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ ও দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।

স্পিকার বলেন, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। প্রেসিডেন্টের এ সফরের ফলে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। স্পিকার বর্তমান দশম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে দু’দেশের সংসদ সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

স্পিকার বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নেতৃত্বকে গতিশীল উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। তিনি বিগত আইপিইউ ও সিপিএ নির্বাচনে শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশকে সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

শিরীন শারমিন বলেন, প্রেসিডেন্টের এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার যেসব চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে দুদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

এসময় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, দু’দেশের সংসদ সদস্যদের সফর বিনিময় ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত হবে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।