নাগরিক শোকসভায় মূল্যায়ন

বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসনে থাকবেন আল মাহমুদ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আল মাহমুদ স্মরণে নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে কবি আল মাহমুদ পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, কবি আসাদ চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ, বিএনপি নেতা ড. মঈন খান, সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী, কবি আল মুজাহিদী, আব্দুল হাই সিকদার প্রমুখ।

মাহমুদ শাহ কোরায়েশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, “তাঁর ‘লোক লোকান্তর’-এ যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটার বিকাশ ‘কালের কলসে’, পরিণত ‘সোনালি কাবিন’-এ। এই তিনটি কাব্য রচনা করেই আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। ভাবতে অবাকই লাগে যে মাত্র তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর আল মাহমুদ এত প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। এটা তাঁর কাব্য প্রতিভার ঔজ্জ্বল্যের প্রমাণ।” স্বাগত বক্তবে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ এখানে যাঁরা এসেছেন তাঁরা আল মাহমুদকে ভালোবেসে এসেছেন, শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। আল মাহমুদের ৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে আমাকে সভাপতি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় যেমন আমার অনেক কবিবন্ধু বাহবা জানিয়েছেন, ঠিক তেমনি অনেকেই প্রকাশ্যে টিটকারী দিতেও দ্বিধা করেননি। একজন বড় কবিকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমরা যে ভুলগুলো করি আমি প্রার্থনা করব আমরা যেন ওই ভুলগুলো আর না করি। আল মাহমুদ সেই বিরল কবিদের একজন যাকে শনাক্ত করতে কষ্ট হয় না।’ কবি আল মাহমুদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন তাঁকে নিয়ে পিএইচডি করা ড. ফজলুল হক তুহিন। আরো বক্তব্য দেন শাহীন রেজা, হাসান হাফিজ, আতাহার খান, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, জাফরুল আহসান।