বাজেট ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ঘোষণা করেছে অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। রোববার প্রস্তাবিত বাজেটকে পুঁজিবাজার বান্ধব বলে মন্তব্য করেছে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। কিন্তু রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ব্যাপক দর পতনে ভুগেছে উভয় পুঁজিবাজার।

বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপে দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ৪২.৪৭ পয়েন্ট। এসময় ডিএসইতে লেনদেনও কমেছে।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ৮৪.১৫ পয়েন্ট। এসময় সিএসইতে ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোববার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২০১টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি কোম্পানির শেয়ার দর। এসময় ডিএসইতে ১৫ কোটি ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৯টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৫৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

দিনশেষে ডিএসইএক্স মূল্যসূচক ৪৩.৪৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮.৬৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৩৫ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৩.৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৯০৫ পয়েন্টে।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক ৮৪.১৫ পয়েন্ট কমে করছে ১০ হাজার ৭৩ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির শেয়ার দর।