বাজেট জনকল্যাণমুখী হয়েছে : বিজিএমইএ সভাপতি

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে জনকল্যাণমুখী বললেও এই বাজেটে ৭০ ভাগ খুশি হয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।

বৃহস্পতিবার বনানীর নিজ বাসভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

রুবানা হক বলেন, বাজেট জনকল্যাণমুখী হয়েছে। তবে পোশাক মালিকরা শতভাগ খুশি নয়। আমরা ৭০ ভাগ খুশি হয়েছি। ৫ শতাংশ প্রণোদনা চাওয়া চাইলেও ১ শতাংশ প্রণোদনা পেয়েছি। এটাকে যৎ সামান্য মনে করি।

কারণ পোশাক শিল্প ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সময় অন্তত ৩ শতাংশ আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন ছিল। অবশ্য তৈরি পোশাক খাতের ব্যবহৃত ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিলের ওপর শতভাগ ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, এতে ভোগান্তি কমবে।

আমদানি-রফতানিতে বন্দরে স্ক্যানার বসানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, এতে পোশাক মালিকদের দুর্নাম ঘুচবে।

পোশাক শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৭৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখানে পোশাক শ্রমিকদের রাখা হয়নি।

প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক শিল্পের কর্পোরেট ট্যাক্স আগের মতো রাখা হয়েছে। রফতানি ও কর্মসংস্থানের কথা বিবেচনা করে তৈরি পোশাক শিল্পের কর্পোরেট কর ১২ শতাংশ, সবুজ কারখানার কর্পোরেট কর ১৫ শতাংশ এবং টেক্সটাইল খাতের কর ১৫ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে।

অবশ্য রফতানি খাতের উৎসে করের বিষয়ে বাজেটে দিক-নির্দেশনা দেননি অর্থমন্ত্রী। এ কারণে আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী রফতানিকারকদের আগামী অর্থবছর থেকে দশমিক ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হবে।

অন্যদিকে তৈরি পোশাক খাতের রফতানিতে প্রণোদনা দিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।