বান্দরবানের ডিমপাহাড় : পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩ হাজার ফুট উঁচু বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ভ্রমণ পিপাসুদের মাঝে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। তবে ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথের মাঝখানে থাকা ‘ডিমপহাড়’ এলাকাটি পর্যটকদের বেশি নজর কাড়ছে।

দেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের ওপর থানচি-আলীকদম সড়কের মাঝপথে অবস্থিত ডিমপাহাড় এলাকাটি জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করেছে। কারণ পুরো ৩৩ কিলোমিটার সড়কপথ জুড়েই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি। রকমারী ফুল-ফলে আচ্ছাদিত সবুজ গাছ-গাছালিতে ঠাঁসা এই সড়ক পথ। পিচঢালাই আঁকা-বাঁকা পথে এসব দৃশ্য দেখে ভ্রমণপিপাসুরা মনের ভেতর স্পন্দন খুঁজে পান। পুরো সড়কপথের সাথে যোগ হয়েছে সবুজপাহাড় আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছোট-ছোট পাড়া, গ্রামগুলোর বৈচিত্র্যময় মানুষের জীবনধারা ও পথচলা। তবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এখনও বিপদমুক্ত নয়।

উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা পর্যটকদের নিরাপত্তা বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের পাশে পৃথকস্থানে স্থাপিত নিরাপত্তা চৌকিসমুহে যাতায়াতকারী পর্যটকসহ যাত্রীবহনকারী যানবাহনগুলোর চালক এবং যাত্রীদের জরুরি মোবাইল নাম্বাসহ ডাটা লিপিবদ্ধ করা হয়। যাতে করে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়। যাতে পর্যটকরা সমস্যায় না পড়েন তার জন্য গাইডের ব্যবস্থাও রয়েছে।

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা সদর থেকে আলীকদম-থানচি সড়কপথে যাবার সময় লামা উপজেলার টপহিল মিরিন্জা পর্যটন কেন্দ্র এবং আলীকদম উপজেলা সদরের কাছে পর্যটন কেন্দ্র আলী ছড়ংগ দর্শনের সুযোগ পাবেন। জেলা সদর হয়ে থানচি-আলীকদম সড়কপথ ভ্রমণে গেলে দর্শনীয় স্থান প্রান্তিক লেক, নীলাচল, রাজবাড়ি, শৈলপ্রভাত, চিম্বুক পাহাড়, জিয়া পুকুর, সুভ্রনীলা, নিলগিরি এবং জীবননগর অবলোকনের সুযোগ রয়েছে। এখন পর্যটকদের ভ্রমণ মৌসুম না হওয়া সত্বেও প্রতিদিনই বিশেষ করে শুক্রবার-শনিবারসহ সরকারি বন্ধের দিন বিপুল পর্যটকের সমাগম ঘটছে বান্দরবানে।