বান্দরবানে পাহাড়ে ফাটল, আতঙ্কে নিচে বসবাসকারীরা

বান্দরবান শহরের কাছে লেমুঝিরি আগাপাড়ার পাহাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের নিচে বসবাসকারীরা রয়েছেন আতঙ্কে। প্রবল বর্ষণের ফলে পাড়াটির পাশের পাহাড়ে ফাটলের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে এই ফাটল বাড়ছে।

এদিকে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি পরিবার অন্যত্র সরে গেছে।

পাড়ার লোকজন জানিয়েছেন গত মঙ্গলবার প্রবল বর্ষণের পর থেকে পাহাড়ে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য পাই ম্রো উ মারমা জানান, পাহাড়ে ফাটল নিয়ে এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ফাটলটির দৈর্ঘ্য বাড়ায় যে কোনো সময় এটি পাড়ার বসতবাড়ির ওপর ধসে পড়তে পারে। লেমুঝিরি এলাকার অনেক জায়গাতেই পাহাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে বান্দরবানে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী লোকজনদের তালিকা তৈরি করা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রাণহানী ঠেকাতে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ হতে সতর্ক করা হচ্ছে।

শুক্রবার জেলা শহরের কাছে লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। তিনি নিহত পরিবারদের খোঁজখবর নেন ও তাদের অর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে ত্রাণ প্রদান করেন। এছাড়া লেমুঝিরি আগা পাড়ার পাহাড়ের ফাটর স্থানটিও দেখেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় তার সাথে জেলা প্রশামক দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলী হোসেন, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষি পদ দাশ, কাঞ্চন জয় চঞ্চঙ্গ্যা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল চৌধুরীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যাওয়ায় বান্দরবানের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে বেশির ভাগ লোকজন তাদের বসতঘরে ফিরে গেছে। যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে তারা এখনো আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতি পরিবারকে ২০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য বান্দরবানে প্রবণ বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে পাহাড় ধসে ৪ শিশুসহ ৬ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়। এছাড়া প্রচুর ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।