বাবার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলো মেয়ে

বাবার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে মেয়ে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ছায়া (ছদ্মনাম) সাংবাদিকদের জানান, তার সৎ বাবাই তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতো। যা তিনি ভয়ে কাউকে বলতে পারেননি। এবং তার বাবাই তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন।

ছায়া চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহারা গ্রামের আবু বকরের মেয়ে। আবু বকরকে তার মা লাইলি বেগম তালাক দিয়ে আবদুল লতিফ নামে একজনকে বিয়ে করেন। সেই বাবা তাকেও ধর্ষণ করছেন।

ছায়া হাসপাতালে আরও জানায়, তার সৎ বাবা আবদুল লতিফ দীর্ঘদিন ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। একদিন ধর্ষণের সময় বিষয়টি তার (ছায়া) স্বামী দেখে ফেলে। ঘটনাটি দেখে ফেলায় তার স্বামীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের দেয় তার বাবা। এর কয়েক দিনপর গত ২৩ মার্চ বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ হকার্স মার্কেটের আলমগীরের ভাড়া বাড়িতে ছায়াকে আগুনে পুড়ে হত্যার চেষ্টা করে আবদুল লতিফ।

ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে স্বামীকে জানায় ছায়া। এরপর তার স্বামী ওই বাড়িতে এসে তাকেসহ তার সৎ বাবা আবদুল লতিফ ও মা লাইলি বেগমকে নিয়ে হাজীগঞ্জ থানায় যায়।

হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জাবেদুল ইসলামের সঙ্গে ছায়া কথা বলতে চাইলে তার সৎ বাবা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, তার স্বামী ছায়াকে যৌতুকের জন্য আগুনে পুড়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। এ কথা শুনেই পুলিশ সোহাগকে আটক করে। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।

পরবর্তীতে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি ও ওসি (তদন্ত) আবদুল মান্নান অধিকতর তদন্ত করে এবং অগ্নিদগ্ধ ছায়ার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রমাণ পায়।

এ প্রসঙ্গে ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, আমরা প্রাথমিক তদন্ত শেষ জানতে পেরেছি ছায়া ও তার স্বামী প্রতিবন্ধী। এই সুযোগ নিয়ে তার সৎ বাবা দীর্ঘদিন ধরেই মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল। কিন্তু ভয়ে মেয়েটি তা প্রকাশ করেনি।

এ ঘটনায় সত্যতা জানতে আবদুল লতিফের সঙ্গে বার বার কথা বলতে চাইলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলেননি।